তরুণ জোট: অখিলেশ সিংহ যাদব, জয়ন্ত চৌধরি ও তেজস্বী যাদব
বৃদ্ধতন্ত্রকে সরিয়ে বিজেপি-বিরোধী শিবিরে ধীরে ধীরে বাড়ছে তরুণ প্রজন্মের প্রভাব। রাজনীতিকদের মতে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের ত্রাসের কারণ হয়ে উঠতে চলেছেন তিন নবীন নেতা। রাহুল গাঁধীর এই তরুণ ব্রিগেডে রয়েছেন অখিলেশ সিংহ যাদব, জয়ন্ত চৌধরি এবং তেজস্বী যাদব।
গুজরাত নির্বাচনের আগেও তিন তরুণ তুর্কির সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় রেখে বিজেপির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন রাহুল। তবে সেই ত্রয়ী জিগ্নেশ মেবাণী, হার্দিক পটেল এবং অল্পেশ ঠাকোর ছিলেন মূলত সমাজের প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধি। তাঁদের পারিবারিক রাজনীতির কোনও পরম্পরাও ছিল না।
এই ত্রয়ীর প্রত্যেকেই নিজ নিজ রাজ্যে হেভিওয়েট রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসা। মূল স্রোতের রাজনীতিতে এককাট্টা হয়েছেন বিজেপিকে পরাস্ত করতে। কর্নাটক এবং কৈরানা-সহ সাম্প্রতিক উপনির্বাচনগুলির পরে যে পরিস্থিতি হয়েছে তাতে এখনও পর্যন্ত স্থির, হাতে হাত মিলিয়ে লড়বেন মুলায়ম সিংহ যাদব, অজিত সিংহ এবং লালুপ্রসাদের ছেলে। প্রত্যেকটি রাজ্যেই মহাজোট হবে কি না তা এখনই স্পষ্ট নয়, কিন্তু রাহুলের সমন্বয়ে এই তরুণ নেতারা যে একে অন্যের পাশে থেকে বিজেপি-বিরোধী ভোটকে একজোট করার চেষ্টা করবেন সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। কংগ্রেসের এক নেতার মতে, এই তিন নেতার সঙ্গে রাহুলের সম্পর্কের রসায়ন খুবই ভাল। দিল্লিতে থাকলে একসঙ্গে নৈশাহারে যেতেও দেখা গিয়েছে রাহুল, অখিলেশ, জয়ন্তদের। ফোনেও যোগাযোগ রেখে চলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: শিবসেনাকে জোটে ডাক পওয়ারের
রাজনীতিকদের মতে, এই তিন নেতাই পারিবারিক পরম্পরার সূত্রে রাজনীতিতে এসেছেন ঠিকই। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা নিজেদের যোগ্যতায় নেতা হিসেবে উঠে এসেছেন। কোনও উত্তরাধিকারের বোঝা না রেখেই বর্তমান সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে লড়ছেন বিজেপির সঙ্গে। বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের সাম্প্রতিক উপনির্বাচনগুলির পর মূলত এঁদেরই কৌশলের কাছে হার মানতে হয়েছে বিজেপিকে। হারাতে হয়েছেন নিজেদের আসন। রাহুলের পরামর্শে উত্তরপ্রদেশ আরএলডি, এসপি, বিএসপি এবং কংগ্রেস একসঙ্গে মহাজোটের দেওয়াল তৈরি করেছে।
খুব শীঘ্রই রাহুলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন অখিলেশ, জয়ন্ত চৌধরি এবং তেজস্বী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য একটি প্রচার কমিটি তৈরি করা হবে। যে নির্বাচনী কেন্দ্রে যে দলের প্রার্থী নেই, সেখানেও সহযোগী দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে যাবেন অন্যরা। একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকও করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy