কোভিডটিকার রান আউটের প্রস্তুতি। ছবি—পিটিআই।
ভারতে করোনাভাইরাসের একাধিক টিকাকে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তুতি তুঙ্গে। টিকা ছাড়পত্র পেলে কেমনভাবে তা বিতরণ করা হবে তার মহড়া শনিবার চলবে দেশ জুড়ে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা দেশের ৫১৭টি জেলায় অংশ নেবেন এই ড্রাই রানে। কিন্তু টিকা বাজারে এলে তা প্রথমে কাদের দেওয়া হবে? খরচই বা কত হতে পারে?
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, কোমর্বিডিটি যুক্ত রোগীদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। কোন কোমর্বি়ডিটি যুক্ত রোগীর শারীরিক জটিলতা বেশি সেই দিকটিও দেখা হবে। গুলোরিয়া বলেছেন, ‘‘আমি কমিটির চেয়ারম্যান। টিকা দেওয়ার ব্যাপারে আমরা কিছু মানদণ্ড তৈরি করেছি। যেমন ডায়াবেটিস আছে কি না, রেচনতন্ত্রের সমস্যা, শ্বাসযন্ত্র সম্পর্কিত রোগ রয়েছে কি না। কোমর্বিডিটি যুক্ত ব্যক্তিদের কী ভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া যায় সেই কাজ চলছে।’’ কোমর্বিডিটির গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেছেন, ‘‘ধরুণ এক জনের ডায়াবেটিস আছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আছে। অপর একজন ডায়াবিটিক ১০ বছর ধরে ইনসুলিন নিয়ে যাচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে টিকা দেওয়ার ব্যাপারে ইনসুলিন নেওয়া ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যক্তির তুলনায় অতিরিক্ত গুরুত্ব দিতে হবে।’’
তিনি আরও জানিয়েছেন সরকার প্রথম ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে ৩০ কোটি লোককে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ-সহ অতিমারির বিরুদ্ধে যাঁরা লড়ে যাচ্ছেন তাঁদের আগে টিকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে অক্সফোর্ডের যে টিকা বানানো হচ্ছে তা শুক্রবার ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল জেনেরাল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-এর কাছে। শনিবার দেশের সমস্ত রাজ্যে চলবে করোনা টিকা প্রদানের মহড়া।
আরও পড়ুন: দিতে হবে আরও তথ্য, কোভ্যাক্সিন-এর বরাতে জোটেনি ছাড়পত্র
করোনা টিকার ডোজের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। কতদিন অন্তর এই টিকার ডোজ নিতে হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মত শোনা যাচ্ছে। গুলেরিয়া জানিয়েছেন, “প্রথম ডো়জ নেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে এ রকম কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। ব্রিটেনই যেমন প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেবে। এতে শুরুতেই অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে টিকা পৌঁছানো সম্ভব হবে।’’ করোনা টিকা পেতে কত খরচ হতে পারে সে ব্যাপারেও আভাস দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘বর্তমানে সরকারই টিকার বিষয়টি দেখবে। সরকারের উদ্যোগেই টিকা দেওয়া হবে। তাই আমার মনে হয় এখন নাগরিকদের খরচ করতে হবে না।’’
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ডের টিকায় জরুরি ক্ষেত্রে ছাড়পত্র বিশেষজ্ঞ প্যানেলের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy