Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

গোয়ার পরেই কি রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ

কংগ্রেস শাসিত ৫ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সপ্তাহ খানেক আগেই দিল্লিতে ডেকেছিলেন রাহুল গাঁধী। মুখ্যমন্ত্রীরা রাহুলকে সভাপতি পদে থাকার অনুরোধ করেন।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ০২:২৩
Share: Save:

গোটা নজর যখন কর্নাটকে গোয়ায় ১৫ জনের মধ্যে ১০ জন কংগ্রেস বিধায়ক চুপচাপ চলে গেলেন বিজেপিতে। মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ বুঝতে পারছেন, এ বারে তাঁর পরীক্ষা। তার পরে অশোক গহলৌতের পালা। বিজেপির ছোবল থেকে বিধায়কদের বাঁচাতে তাই তৎপর হয়েছেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।

কংগ্রেস শাসিত ৫ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সপ্তাহ খানেক আগেই দিল্লিতে ডেকেছিলেন রাহুল গাঁধী। মুখ্যমন্ত্রীরা রাহুলকে সভাপতি পদে থাকার অনুরোধ করেন। সে জন্য তাঁরা যে যুক্তি দেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল রাজ্য দখলে বিজেপির আগ্রাসী অভিযান। কিন্তু রাহুল মানেননি। দিল্লি থেকে আর কোনও সহযোগিতাও প্রত্যাশা করছেন না কমল নাথ, গহলৌতরা। ফলে এখন নিজেরাই তাঁদের সাত মাসের সরকার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। রাজস্থানের দু’শো আসনের বিধানসভায় সহযোগী মিলিয়ে ১১২টি আসন নিয়ে গহলৌত তা-ও কিছুটা স্বস্তিতে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে প্রায় সুতোয় ঝুলে আছে কমল নাথের সরকার। ২৩১ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৬। অথচ কংগ্রেসের রয়েছে ১১৪। ১ জন সপা, ২ জন বসপা ও ৪ নির্দলের সমর্থন নিয়ে টিঁকে আছে সরকার।

গত কালই দুই রাজ্যে বাজেট পেশ হয়েছে। কমল নাথ শিবিরের আশঙ্কা, বিধায়ক ভাঙিয়ে বাজেট পাশ করতে না-দিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে বিজেপি। আর যদি এখনই সেটি না করে, অন্য ভাবে রাজ্য দখলের চেষ্টা চলবেই। মধ্যপ্রদেশের এক কংগ্রেস নেতা জানান, ‘‘এ কারণেই কমল নাথ এক এক জন মন্ত্রীকে ৪-৫ জন বিধায়কের উপর নজরদারির ভার দিয়েছেন। যে বিধায়করা টলমলে, তাঁদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নিজে যোগাযোগ রাখছেন। সপা-বসপা, নির্দল বিধায়কদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন রাজধানী ছেড়ে না যান।’’

গত কাল বাজেট পেশের পর গহলৌত জানিয়েছেন, রাজ্যের গ্রামবাসীরাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, ‘‘এমনিতেই রাহুল গাঁধীর ইস্তফার পরে দলের টালমাটাল অবস্থা। কমল নাথ, গহলৌতরা জানেন, এক বার রাজ্য

হাতছাড়া হলে জাতীয় স্তরেও তাঁদের গুরুত্ব কমে যাবে। এ জন্যই তাঁরা মরিয়া।’’ কর্নাটক, গোয়ায় কংগ্রেস ভাঙার প্রতিবাদে আজই সংসদ চত্বরে সনিয়া গাঁধী, রাহুল -সহ বিরোধী নেতারা ধর্না দেন। তার কিছু ক্ষণ পরেই কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া গোয়ার বিধায়কদের সংসদ ভবনে আনা হয় অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করাতে। কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেন, ‘‘যে ভাবে বিরোধীদের ভাঙানোর চেষ্টা হচ্ছে, সেটি শুধু গণতন্ত্রে ধাক্কা নয়, অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব পড়বে।’’ অম্বিকা সোনির শ্লেষ, ‘‘৩০০-র বেশি আসন পেয়েও বিজেপির খিদে মিটছে না!’’ কিন্তু কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের যুক্তি, ‘‘৪০ দিন ধরে কংগ্রেসে কোনও সভাপতি নেই, এর জন্যও কি বিজেপি দায়ী? কংগ্রেসের নেতারা দলে নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখছেন না, তাই বেরিয়ে আসছেন। বিজেপি কী করতে পারে!’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

অন্য বিষয়গুলি:

Kamal Nath Ashok Gehlot Karnataka Goa Congress MLA BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy