সিবিআই যুগ্ম ডিরেক্টর (প্রশাসন) এ কে ভাটনগর। ফাইল চিত্র।
আরও এক বার প্রকাশ্যে এল সিবিআইয়ের ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’। এ বার সিবিআইয়ের এক শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো সংঘর্ষ’-এর অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি লিখলেন ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারই আরও এক আধিকারিক। অভিযোগ উঠেছে সিবিআইয়ের যুগ্ম ডিরেক্টর (প্রশাসন) এ কে ভাটনগরের বিরুদ্ধে। আর তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন সংস্থারই ডেপুটি পুলিশ সুপার এন পি মিশ্র। ভাটনগরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডে ১৪ জন নিরীহ মানুষকে ‘গুলি করে খুন’ করেছেন তিনি। ভটনগরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনার পাশাপাশি তাঁর পদত্যাগেরও দাবি তুলেছেন মিশ্র।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পাশাপাশি সিবিআই প্রধান এবং মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনারের কাছে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠান এন পি মিশ্র। চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমান যুগ্ম ডিরেক্টর (প্রশাসন) ঝাড়খণ্ডে ১৪ জন নিরীহ মানুষের ভুয়ো এনকাউন্টারে জড়িত। ভুয়ো এনকাউন্টারের সঙ্গে জড়িত সেই মামলাটি এখন সিবিআইয়ের এসসি-১ শাখার তদন্তাধীন। পাশাপাশি মিশ্র জানান, নিহতদের পরিবার এ বিষয়ে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন ইতিমধ্যেই।
শুধু ভুয়ো এনকাউন্টারই নয়, ভাটনগরের বিরুদ্ধে দুর্নীতিরও অভিযোগ তুলেছেন এন পি মিশ্র। সিবিআইয়ের কাছে এ বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। ভাটনগরের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ এবং চিঠির বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি সংবাদমাধ্যম। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া মেলেনি সিবিআইয়ের কাছ থেকে।
এই প্রথম নয়। গত বছরেই সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং ছত্তীসগঢ়ের সাংবাদিক উমেশ রাজপুত খুনের তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তুলেছিলেন মিশ্র। যদিও তাঁর সেই অভিযোগকে সম্পূর্ণ নস্যাত্ করে দিয়েছিল সিবিআই।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির ‘অন্তর্কলহ’ এই প্রথম প্রকাশ্যে এল, এমনটা নয়। এর আগে সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মা এবং তাঁর ডেপুটি রাকেশ আস্থানার দ্বন্দ্ব জনসমক্ষে চলে আসে। একে অপরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় সেই জল বহু দূর পর্যন্ত গড়ায়। প্রশ্ন ওঠে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার ভাবমূর্তি নিয়ে। তার পরই বর্মা ও আস্থানাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বর্মাকে শীর্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এবং তার পর পরই তিনি ইস্তফা দেন। অন্য দিকে, আস্থানাকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। সিবিআইয়ের দুই আধিকারিকের সেই দ্বন্দ্ব নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে যায় রাজনীতি মহলে। বিরোধী দলগুলি সিবিআইয়ের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে। শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকের বিরুদ্ধে ভুয়ো সঙ্ঘর্ষের অভিযোগ ফের সিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy