গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মনে সুখ নেই গ্যাংস্টার আবু সালেমের। জেলে মুরগি মিলছে না। মুক্ত জীবনে ‘নন ভেজ’ ছাড়া মুখে রুচি আসত না। আর জেলে এসে কিনা সব উধাও! সালেমের অভিযোগ পেয়ে তার সঙ্গে জেলে দেখা করতে এসেছিলেন পর্তুগিজ দূতাবাসের আধিকারিকরা। তাদের নাগালের মধ্যে পেয়ে অপ্রাপ্তির হাজারো বৃত্তান্ত জানিয়েছে সালেম।
১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগে পর্তুগাল সরকার সালেমকে তুলে দেয় ভারতের হাতে। তবে ওই সময় ভারত এবং পর্তুগাল সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। তাতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেও সালেমকে ফাঁসি দেওয়া হবে না বলে লিসবনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দিল্লি। গত বছর ওই মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় টাডা আদালত।
পর্তুগিজ দুতাবাসের কাছে সম্প্রতি সালেম অভিযোগ জানিয়েছে, জেলের মধ্যেতার প্রাণ সংশয় হতে পারে। এর ভিত্তিতেই নবি মুম্বইয়ের তালোজা জেলে দেখা করতে আসেন দূতাবাসের আধিকারিকরা। সালেম তাঁদের জানায়, জেলের খাবার খুবই খারাপ। সে‘নন ভেজ’ খায়। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ তাকে নিরামিষাশী বানানোর চেষ্টা করছে। সালেমের অভিযোগ, জেলে ভালো খাবার না পেয়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: মডেল থেকে ধর্মগুরু, আত্মঘাতী ভাইয়ুজি
আরও পড়ুন: তাজমহলের ফটকে হামলা, অভিযুক্ত বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
যদিও সালেমের অভিযোগ সত্যি নয় বলে জানিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, সালেমের দাবি মতো তাকে মুরগির মাংস দেওয়া সম্ভব নয়। তবে চিকিত্সকরা বললে, তাকে ডিম দেওয়া যেতে পারে। সালেমের আইনজীবী সাবা কুরেশির অভিযোগ, ‘‘সালেমকে কারাগারে অস্বাস্থ্যকর জায়গায় রাখা হয়েছে। শৌচাগার অপরিচ্ছন্ন। সূর্যের আলো না পাওয়ায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’’ এ অভিযোগও জেল কর্তৃপক্ষ খারিজ করেছেন। তাঁদের দাবি, সালেম যথেষ্টই সুস্থ, তার কোনও সমস্যা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy