Advertisement
E-Paper

অক্টোবরে কর্মহীন ১৮ লক্ষ, মে মাসের পর সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্র কর্মসংস্থানে

লকডাউন বিপর্যয় কাটিয়ে ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির হাল ফিরছে বলে যে দাবি করছে কেন্দ্র, তা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল নতুন এই পরিসংখ্যানে।

কর্মসংস্থানে উদ্বেগের ছবি পরিসংখ্যানে।

কর্মসংস্থানে উদ্বেগের ছবি পরিসংখ্যানে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ১২:০৪
Share
Save

অর্থমন্ত্রী বার বার দাবি করছেন, করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। কিন্তু কর্মসংস্থানের ছবিতে ফের প্রশ্ন উঠে গেল নির্মলা সীতারামনের সেই দাবি ঘিরে। সরকারি হিসেবেই সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিস বা ইপিএফও-তে নথিবদ্ধ সংস্থা কমেছে ৩০ হাজার। মাত্র এক মাসেই কর্মী সংখ্যা কমেছে ১৮ লক্ষ। গত মে মাসের পর কর্মী এবং সংস্থার সংখ্যায় এত বিপুল হারে পতন হয়নি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ লকডাউন বিপর্যয় কাটিয়ে ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির হাল ফিরছে বলে যে দাবি করছে কেন্দ্র, তা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল নতুন এই পরিসংখ্যানে।

বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও পেনশন খাতে বেতনের ১২ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়। সমপরিমাণ টাকা সংস্থাও জমা দেয়। এই দুই অংশের টাকা মিলিয়ে জমা থাকে ইপিএফও-তে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে ইপিএফও-তে টাকা জমা পড়া কর্মীর সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৭৬ লক্ষ ৮০ হাজার। অক্টোবরে সেই সংখ্যা প্রায় ১৮ লক্ষ কমে হয়েছে ৪ কোটি ৫৮ লক্ষ ২০ হাজার। একই ভাবে এই সময়ে নথিবদ্ধ সংস্থা ছিল ৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮৬৯টি। অক্টোবরে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ৫ লক্ষ ৪ হাজার ৪৪। অর্থাৎ সংস্থার সংখ্যা কমেছে প্রায় ৩০ হাজার ৮০০।

মার্চের শেষ সপ্তাহে লকডাউন জারি হয়েছিল সারা দেশে। সেই সময় এক ধাক্কায় কর্মী এবং সংস্থা, দুই ক্ষেত্রেই ব্যাপক পতন হয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের পর আনলক পর্বে সেই পরিস্থিতি থেকে অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের গ্রাফও বাড়ছিল। কিন্তু অক্টোবরে এসে যেন মুখ থুবড়ে পড়ল সেই ছবি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ওয়াকিবহাল এক সরকারি শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘‘হতে পারে এই পরিসংখ্যান এসেছে অর্থনীতি সঙ্কোচনের জন্য। তা ছাড়া চাহিদায় (উৎপাদিত পণ্য) ঘাটতির কারণেও হতে পারে। এই রকম পরিস্থিতিতে এমন হতে পারে যে, সংস্থাগুলি আপাতত খরচ কমানোর জন্য ইপিএফ-ও তে টাকা জমা দিচ্ছে না।’’

আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ৩৮ হাজার, মোট সুস্থ ৮৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল

আরও পড়ুন: বাইডেনকে ফোন মোদীর, কৌশলগত সম্পর্ক মজবুত করার অঙ্গীকার

দেশে করোনা সংক্রমণের আগে থেকেই দেশে কর্মসংস্থানের চিত্রে অশনি সঙ্কেত ছিল। গত বছরের মে মাসের পরিসংখ্যান উঠে এসেছিল, ৪৫ বছরে বেকারত্বের হার ছিল সর্বোচ্চ। করোনা সংক্রমণ এবং লকডাউনের জেরে সেই চিত্র আরও ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কার্যত তলানিতে চলে যাওয়া কর্মসংস্থানের এই চিত্র ধীরে ধীরে বদল হতে শুরু করার মধ্যে আচমকা এই হোঁচটে ফের শঙ্কার মেঘ ঘনিয়ে উঠছে কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে।

Coronavirus Lockdown Unemployment EPFO

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}