বিমানবন্দরে বিদেশ ফেরত যাত্রীরা।
করোনার ব্রিটিশ স্ট্রেন নিয়ে আতঙ্ক ভারতেও। কারণ, গত এক মাসে ব্রিটেন থেকে দেশে ফিরেছেন ৩৩ হাজার যাত্রী। ফলে করোনার নয়া স্ট্রেন এ দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কয়েক জনের শরীরে ওই স্ট্রেন মিলেছে। তার জেরে শঙ্কা ক্রমশই গভীর হচ্ছে।
ব্রিটেনে গত সেপ্টেম্বরে প্রথম নয়া স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছিল। কিন্তু তখনও ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে বিমান যোগাযোগ ছিন্ন হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, গত ২৪ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই এক মাস সময়ে নয়া স্ট্রেনের ‘ধাত্রীভূমি’ ব্রিটেন থেকে এ দেশে পা রেখেছেন ৩৩ হাজার যাত্রী।
ব্রিটেন ফেরতদের মধ্যে ১২০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। আশঙ্কা সত্যি করে ২০ জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে নয়া স্ট্রেনের হদিশও। ব্রিটেন থেকে আসা যাত্রীর শরীরে করোনা পাওয়া গেলে তাঁর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। আর তাতেই ধরা পড়েছে ওই নয়া স্ট্রেন। প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনার ওই ব্রিটিশ স্ট্রেনটি আগের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। এই তথ্যই আতঙ্ক বেশ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম চেষ্টাতেই বিচারক হলেন রাজস্থানের গোয়ালার মেয়ে
আরও পড়ুন: নিজের হাতে অন্যের বর্জ্য বয়ে পড়াশোনার খরচ জোগাড়, ‘অস্পৃশ্য’ দলিতকন্যা আজ সংস্কৃতের অধ্যাপিকা
গত এক মাসে ব্রিটেন থেকে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ এ দেশে পা রেখেছেন তাঁদের হদিশ পেতেও কালঘাম ছোটাতে হচ্ছে প্রশাসনকে। কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকরের দাবি, তাঁর রাজ্যে ব্রিটেন থেকে আসা ২ হাজার ৪০০ জনের মধ্যে ৫৭০ জনের খোঁজ মিলছে না। জানা গিয়েছে, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং পঞ্জাবের ব্রিটেন ফেরত অনেকেই স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। ফলে করোনার নয়া স্ট্রেন সকলের অগোচরেই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy