নাগরিকত্বের দাবিতে অসমে বাঙালিদের আন্দোলন। ফাইল চিত্র।
অসমে নাগরিকপঞ্জী থেকে যে ৪০ লক্ষের নাম বাদ পড়েছিল, তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ নথিপত্র সহ ফের নাগরিকত্বের আবেদন জানিয়েছেন। এমনটাই জানা যাচ্ছে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। এত কম সংখ্যক মানুষ আবেদন করার ঘটনা অবাক করেছে অনেককেই। শনিবার নয়াদিল্লিতে নাগরিকপঞ্জী নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গৌবার মতো হেভিওয়েটরা।
নাগরিকপঞ্জী থেকে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ার ঘটনায় সারা দেশ জুড়ে তৈরি হয়েছিল তুমুল বিতর্ক। বাদ পড়া মানুষদের ফের সুযোগ করে দিতে নতুন করে আবেদন জানানোর সুযোগ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মাফিক ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন জানানোর সময়সীমাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি নাগরিকত্বের প্রামাণ হিসেবে আরও বেশ কিছু নথি যুক্ত করার কথাও জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। আগে থেকে ঠিক করা ১০টি নথি ছাড়াও নতুন যুক্ত হওয়া নথিগুলি হল, ১৯৫১ সালের নাগরিকপঞ্জী, ১৯৭১ সালের আগের ভোটার তালিকা, উদ্বাস্তু নথিভুক্তকরণ শংসাপত্র, রেশন কার্ড এবং নাগরিকত্বের শংসাপত্র।
নতুন এই নথিগুলি যুক্ত হওয়ায় প্রশাসনের ধারণা ছিল, বাদ পড়া ৪০ লক্ষের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই ফের নাগরিকত্বের জন্য দাবি জানাবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষ আবেদন করার ঘটনায় অবাক হয়েছেন অনেকে। যদিও ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা থাকায় আরও অনেকে পরে আবেদন করবেন, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সারা রাজ্যের প্রায় ২৫০০ সেবাকেন্দ্রে নাগরিকত্বের দাবি জানিয়ে নথি জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে অসম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মোদীজি পিএম, যোগীজি সিএম হয়ে গেলেন, রাম সেই তাঁবুতেই’, তোপ দাগলেন বিজেপি বিধায়ক
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy