ছবি: অভিজিৎ সাহা
গন্তব্য গঙ্গার গা-লাগোয়া জেটি। ভটভটিতে চড়তেই হাপর বুকের এগজস্টার বেয়ে পাইকারি শ্বাস পড়ছিল কাঁধের কাছটায়। ওর মায়া মাখা মুখের মধ্যে মণিজোড়ার শাসন— “লোকে দেখছে!”
মুহূর্তে ম্যাজিক!
ঘ্যাটাং-ট্যাং, ভট-ভট-ভট আওয়াজের বেয়াক্কেলে রেওয়াজে বাতাসের সেকী গলা সাধা! ওর সরস্বতী-কোঁকড়া চুল ডানায় কনভার্ট! মণিযুগল শান্ত।
বেলুড় মঠে শ্রদ্ধা সেরে সবে সবুজ গালিচায় দেহ রেখেছি দু'জনে, রাপিড ফায়ার ত্রিশব্দ— "আমি কত নম্বর?"
ঠোঁট জোড়া কড় গোনে— প্রাইমারিতে অবচেতনে ক্লাসমেট, গানের স্কুলে একতরফা প্রেম, দু'তরফা ক্ষণপ্রেম, আর আজকের পর সর্বসাকুল্যে সাতদিনের সাক্ষাৎ-প্রেম স্থায়ী হলে— “চার।”
ততক্ষণে তিরন্দাজি স্বর-শর শেল হয়ে বিঁধেছে ও-বুকের খাঁচায়।
কাট-টু হনহনে পা আর বুক এফোঁড়-ওফোঁড় ব্যথায় আমি পিছুপিছু!
রোদ্দুর রঙের হৃদয় ফুঁপড়ে ফের জেটিতে। ওর মুখময় ম্রিয়মাণ মেঘ! কোত্থেকে কালো মেঘের শামিয়ানায় গোমড়ামুখো গোধূলি!
মুহূর্তে ম্যাজিক!
আমার ছলছল আঁখির উইন্ডস্ক্রিনে দেদার ঘন বর্ষার ওয়াইপার-ছটা! ঈশ্বরও সেদিন শুকশারির শোকে কাঁদছিলেন বলেই কী আজও ও-ই আমার সহধর্মিণী!
এই প্রতিবেদনটি ‘আষাঢ়ের গল্প’ কনটেস্ট থেকে সংগৃহীত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy