ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসা শুরু করতে গড়িমসি করছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। তাই জ্বরে আক্রান্তদের পরিবার রোগীদের নিয়ে ছুটছেন কলকাতায়। মালদহ মেডিক্যাল ও কালিয়াচকের নয়াবস্তি গ্রাম থেকে ১৫ জনের বেশি রোগীকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন নয়াবস্তির দিনমজুর ইজরাইল শেখের মেয়ে আবেদা পরভিন।
পনেরো বছরের আবেদা জ্বর নিয়ে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছিল। অভিযোগ, দু’দিনেও তার রক্তপরীক্ষা হয়নি। বাইরে থেকে রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায়, আবেদা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। দেরি না করে গ্রামের এক মহাজনের কাছ থেকে টাকা ধার করে মেয়েকে শুক্রবার কলকাতায় নীলরতন সরকার হাসপাতালে আনা হয়। আবেদার মা নুরেফা বিবি বলেন, “মেয়েকে তো বাঁচাতে হবে। মালদহের হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছিল না। মহাজনের টাকা শোধ করতে আমার স্বামী ভিন্ রাজ্যে কাজে চলে গিয়েছেন।” নয়াবস্তিতেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ভাদু শেখ, তাঁর ভাই রিঙ্কু শেখ এবং ছেলে নেহাল শেখ। তাঁদের নিয়ে কলকাতায় ছুটে গিয়েছেন পরিজনরা। তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ ইউনুস শেখ বলেন, যাঁদের ডেঙ্গির উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের রক্ত নিয়ে যাচ্ছে। অথচ রক্তপরীক্ষা হচ্ছে না। আমার গ্রামের প্রায় ১০ জন কলকাতায় গিয়েছেন।”
অনেক রোগীকেই যে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা স্বীকার করেছেন মালদহ মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীও। তিনি বলেন, “আমরা যথাসাধ্য করছি। কেউ নিয়ে গেলে জোর করে আটকাতে পারি না।” চিকিৎসায় দেরির কথা স্বীকার করেননি তিনি। মঙ্গলবার, ছুটির দিনে জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, মালদহ মেডিক্যালের ডেপুটি সুপার-সহ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের ডেকে জরুরি বৈঠক করেন মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy