নানা ওষুধের দাম বাবদ চার মাসের বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। টাকা মেটানোর জন্য বার বার আবেদন জানিয়েও ফল মেলেনি কোনও। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উত্তর দিনাজপুর মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দ্বারস্থ রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান কর্তৃপক্ষ। কলকাতার একটি ঠিকাদার সংস্থার অধীন ওই ওষুধের দোকানের সহকারী ফার্মাসিস্ট পীযূষ সরকার শুক্রবার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রাসবিহারী দত্তের কাছে লিখিতভাবে বকেয়া মেটানোর আবেদন করেছেন।
বকেয়া ১২ লক্ষ টাকা
মার্চ মাসের বকেয়া ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা
এপ্রিল মাসের ৩ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা
মে মাসের ৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা
জুন মাসের ২ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে।
জেলা হাসপাতালের সহকারী সুপার গৌতম দাসের দাবি, সরকারি তহবিলে টাকা না থাকায় চার মাস ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানকে বকেয়া দাম মেটানো সম্ভব হয়নি। রোগীদের স্বার্থে দোকান কর্তৃপক্ষকে ওষুধ সরবরাহ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। তবে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রাসবিহারীবাবু বলেন, “খুব শীঘ্রই তাঁদের পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।” সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান কর্তৃপক্ষ ৫৩.৩ শতাংশ ছাড়ে রোগীদের ১৪২ রকমের ওষুধ বিক্রি করেন। অভিযোগ, চার মাস ধরে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জননী সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পে প্রসূতিকে দেওয়া ওষুধের দাম মেটাচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ওষুধের দাম বাবদ বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা।
ফার্মাসিস্ট পীযূষবাবু জানিয়েছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঠিক সময়ে টাকা না মেটানোয় কর্মীদের সময়ে বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য দফতর বকেয়া না মেটালে জননী সুরক্ষা প্রকল্পে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দিতে হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy