বিরিয়ানিতে নিষিদ্ধ কৃত্রিম রং ব্যবহারের অপরাধে দেবেন্দ্রচন্দ্র দে রোডের এক হোটেল-মালিকের ছ’মাস জেল ও দু’হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ বিভাগের মেয়র পারিষদ পার্থপ্রতিম হাজারি এ কথা জানিয়ে বলেন, “শুধু শহরের ফুটপাথেই নয়, প্রচুর ছোটখাটো হোটেলে বিরিয়ানিকে আকর্ষণীয় চেহারা দিতে নিষিদ্ধ কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে খবর পাচ্ছিলাম। আমাদের ফুড ইনস্পেক্টর বিভিন্ন জায়গা থেকে বিরিয়ানির নমুনা সংগ্রহ করেন। দেবেন্দ্রচন্দ্র দে রোডে ‘পূর্বাশা’ নামে একটি হোটেলের বিরিয়ানির নমুনা পুর-পরীক্ষাগারে যাচাই করে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার করা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল আদালত ওই অভিযুক্ত হোটেল-মালিককে ছ’মাসের কারাবাস ও দু’হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে।”
এর পাশাপাশি, হরমোহন ঘোষ লেনের একটি মিষ্টির দোকান গরুর দুধের দই বলে মোষের দুধের দই বিক্রি করায় মালিকের ছ’মাসের জেল ও দু’হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, এ ক্ষেত্রে ওই দই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক নয় ঠিকই, কিন্তু তার চরিত্র বদলে যাচ্ছে। পুরসভার খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, “গরুর দুধের থেকে মোষের দুধে অনেক বেশি ফ্যাট থাকে। এর ফলে দইয়ের মান গরুর দুধের দইয়ের চেয়ে খারাপ হয়।” খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধের নতুন আইন ফুড সেফ্টি স্ট্যান্ডার্ড রেগুলেশন ২০১১ অনুযায়ী এটি দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই ‘রসরাজ’ নামে ওই দোকানের মালিকেরও শাস্তির আদেশ দিয়েছে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy