থ্যালাসেমিয়ার মতো মারণ রোগের প্রধান কারণ সচেতনতার অভাব। সেই সঙ্গেই প্রয়োজন একটু সতর্কতারও। সচেতনতা গড়ে তুলতেই প্রতি বছর ৮ মে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। জেনে নিন থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্য।
কী এই থ্যালাসেমিয়া
থ্যালাসেমিয়া একটি ব্লাড ডিজঅর্ডার যার ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। প্রধানত তিন ধরনের থ্যালাসেমিয়া হয়। আলফা থ্যালাসেমিয়া, বিটা থ্যালাসেমিয়া ও থ্যালাসেমিয়া মাইনর। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হলে রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা ও হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ অতিরিক্ত মাত্রায় কমে যায়। যার ফলে রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দেয়।
থ্যালাসেমিয়া একটি জিনগত রোগ। যদি বাবা ও মায়ের দু’জেনই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হন, তা হলে সন্তানের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
ভারতে থ্যালাসেমিয়া
ভারতকে বলা হয় থ্যালাসেমিয়ার রাজধানী। এই দেশে প্রতি বছর ১০ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মায়। এদের মধ্যে দারিদ্র ও চিকিত্সার অভাবে ৫০ শতাংশ আক্রান্ত ২০ বছর বয়স পূর্ণ করার আগেই মারা যায়। ভারতে মোট ৪০ লক্ষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক রয়েছেন। এদের মধ্যে ১ লক্ষ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত।
মেট্রোপলিস হেলথকেয়ারে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে প্রতি দুজনে মহিলার এক জন রক্তাল্পতায় আক্রান্ত।
থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ
দুর্বলতা
ক্লান্তি
হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া
ফ্যাকাশে ত্বক
স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া
সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া
শরীরে আয়রন জমা হওয়া
হার্টের সমস্যা
আরও পড়ুন: আজ বিশ্ব হাঁপানি দিবস, জেনে নিন কিছু জরুরি তথ্য
চিকিত্সা
থ্যালাসেমিয়ার ধরন ও প্রকোপের মাত্রার উপর নির্ভর করে চিকিত্সা। সাধারণত
ব্লাড ট্রান্সফিউশন
বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট
মেডিকেশন ও সাপ্লিমেন্ট-আয়রন সিলেশন (বিশেষ ওষুধের সাহায্যে শরীর থেকে আয়রন বের করে নেওয়া)
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্লীহা ও গল ব্লাডার বাদ দিয়ে চিকিত্সা করা হয়।
আফ্রিকা, ভূমধ্যসাগরীয় ও এশিয়ার দেশগুলির বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হন। পুরুষ ও মহিলাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy