এখনও পর্যন্ত কোভিডের প্রতিষেধক যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত দেখা গিয়েছে। জ্বর, গায়ে ব্যথা, হাতে ব্যথা, ক্লান্তি, পেটের সমস্যা এবং বমি বমি ভাব। অনেকেই এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় টিকাকরণ করাতে চাইছেন না। কিন্তু প্রতিষেধক কী করে কাজ করে, সেটা জানলে বুঝতে পারবেন, কেন এই লক্ষণগুলি আপনার জন্য সুখবর।
মৃত বা কমজোরি ভাইরাস দিয়ে তৈরি হয় যে কোনও রোগের প্রতিষেধক। তাই সেটা যখন আপনার শরীরে যাবে, তখন সেটা ভাইরাসের মতোই কাজ করবে। তার সঙ্গে লড়াই করতে শুরু করবে আপনার রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা। ফলে হাত-পায়ে ব্যথা, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব এগুলো হওয়া স্বাভাবিক। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা দ্রুত তৈরি হতে শরীরে রক্ত চলাচল বেড়ে যেতে পারে। তাই জ্বর আসাও স্বাভাবিক। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি দেখতে পেলে বুঝবেন, আপনার শরীরে ঠিক মতো কাজ করছে প্রতিষেধক। যে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাটা তৈরি হয়ে থাকবে, যখন আসল ভাইরাস শরীরে ঢুকবে তখন সেটার সঙ্গে আরও দ্রুত লড়াই করতে পারবে আপনার শরীর। এতে আরও একটি দিক পরিষ্কার হয়ে যায়। কেন প্রতিষেধক নেওয়ার পরেও রোগে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। কারণ ভাইরাস মুছে দেয় না প্রতিষেধক। শরীরে সেটার প্রভাব অনেকটা কম করতে সাহায্য করে মাত্র।
কোভিড-টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্বের পরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি আরও বেশি হতে পারে। উপসর্গগুলি অনেকটাই রোগের মতো বলে অনেকেই ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ভয়ের কোনও কারণ নেই। বরং উপসর্গগুলি দেখতে পেলে বুঝতে পারবেন, যে প্রতিষেধক কাজ করছে।
রেহাই পাওয়ার রাস্তা
১। হাতের ব্যথা (যেখানে টিকা দেওয়া হয়েছে) কমানোর জন্য আইস প্যাক লাগাতে পারেন।
২। হাল্কা জ্বর, গা ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল রাখুন সঙ্গে।
৩। বেশি করে জল এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান।