সবার আগে বুঝতে হবে হেপাটাইটিস এ কেন হয়
হেপাটাইটিস এ হল একটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে লিভার সংক্রমণ, যার মূল কারণ হল হেপাটাইটিস এ ভাইরাস। এই সংক্রমণের ফলে খুব সাধারণ থেকে শুরু করে জটিল শারীরিক অসুস্থতার সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত শরীর অসুস্থ থাকতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু (WHO)-এর অনুমান, সারা বিশ্বে প্রতি বছর মোট ১০ কোটিরও বেশি মানুষ হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত হন1। এই লিভার সংক্রমণকে শিশুদের ক্ষেত্রে মৃদু এবং খুব স্বাভাবিক বলে গণ্য করা হয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে এই রোগ জটিল আকার ধারণ করতে পারে3। কিশোর-কিশোরী এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে, এই সংক্রমণের উপসর্গ অনেক বেশি মারাত্মক হতে পারে, এর মধ্যে ৭০% এর চেয়ে বেশি ক্ষেত্রে জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।4
হেপাটাইটিস এ সংক্রমণের ফলে কোনও রকম ক্রনিক সংক্রমণ হয় না, তবে সেগুলি মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে।5 সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে, এই রোগ জটিল আকার ধারণ করতে পারে যেমন, অ্যাকিউট লিভার ফেলিওর। এমনকী কিছু বিরল ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। এই রোগ বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে হতে পারে, বিশেষ করে সেই সমস্ত জায়গায় যেখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে6। এই কারণে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শহুরে এলাকায় বড় হওয়া শিশুরা সাধারণত ছোটবেলায় হেপাটাইটিস এ সংক্রমণে আক্রান্ত হয় না, কিন্তু বয়ঃসন্ধির সময় এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে তাদের শরীরে এই সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
এই রোগ কীভাবে ছড়ায়?
হেপাটাইটিস এ রোগ মূলত ছড়ায় এমন জল এবং খাবারের মাধ্যমে যার মধ্যে হেপাটাইটিস এ ভাইরাসের অস্তিত্ব রয়েছে। এই রোগ প্রাথমিক ভাবে এক জনের শরীর থেকে অন্যজনের মধ্যে ফেসিয়াল-ওরাল যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়াতে পারে কিংবা যদি কেউ দূষিত জল, দুধ, বা এমনকী এমন খাবার গ্রহণ করেন, যা সঠিক ভাবে তৈরি করা বা স্টোর করা, কিংবা পরিচ্ছন্ন ভাবে পরিবেশন করা হয়নি, তাহলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হেপাটাইটিস এ ভাইরাস রয়েছে, এমন কোনও জিনিস ভুলবশত শরীরে প্রবেশ করলেও আপনার শরীরে হেপাটাইটি এ সংক্রমণ হতে পারে। যেমন ধরুন, সংক্রমিত শিশুর ডায়াপার বদলানোর পরে আপনি ভালো ভাবে হাত না ধুলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। যদি আপনি কোনও সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাবার বা পানীয় ভাগ করে খান কিংবা এমন কোনও দরজার হাতল বা পৃষ্ঠ স্পর্শ করেন যেখানে খুব সামান্য পরিমাণে সংক্রমিত ব্যক্তির মল লেগে রয়েছে, সেখান থেকেও এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
এই লক্ষণ এবং উপসর্গগুলির দিকে নজর দিন
এই সংক্রমিত প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরে উপসর্গ দেখা দেয় না। এই উপসর্গগুলি (যদি দেখা দেয়) সাধারণত সংক্রমণ হওয়ার ২ থেকে ৬ সপ্তাহ পরে শরীরে দেখা দিতে পারে। এগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
মনে রাখবেন, সংক্রমিত প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরে প্রতিটি উপসর্গ দেখা না-ও যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, এই ধরনের উপসর্গ ৬ মাস ধরেও থাকতে পারে9
হেপাটাইটিস এ – এটি কি প্রতিরোধ করা সম্ভব?
হ্যাঁ, হেপাটাইটিস এ সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিজেকে এই সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচানোর সহজ উপায়গুলি হল:
১. পরিষ্কার জল পান করুন এবং খাবার ভালো ভাবে রান্না করুন। সব রকমের কাঁচা মাংস ও শেলফিস খাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং ফল ও সব্জি পরিষ্কার জলে ভালো ভাবে ধুয়ে নিন।
২. নিজের হাত ভালো ভাবে ধুয়ে নিন সাবান এবং জল দিয়ে, প্রতিবার বাথরুম ব্যবহার করার পরে, শিশুর ডায়াপার বদলানোর পরে এবং খাবার বানানোর ও খাওয়ার আগে।
৩. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন আপনার বাড়ির ভিতর এবং তার চারপাশ।
৪. টিকাকরণ আপনার সন্তানকে হেপাটাইটিস এ সংক্রমণের হাত থেকে সুরক্ষা দিতে পারে
হেপাটাইটিস এ সংক্রমণের চিকিৎসা কী?
এখনও পর্যন্ত হেপাটাইটিস এ সংক্রমণের জন্য কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তাই প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। হেপাটাইটিস এ সংক্রমণ প্রতিরোধ করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হল টিকাকরণ।
হেপাটাইটিস এ প্রতিরোধক টিকা কখন নেওয়া যেতে পারে?
এক বছর এবং তার বেশি বয়সী শিশু থেকে শুরু করে যে কেউ হেপাটাইটিস এ প্রতিরোধক টিকা নিতে পারেন। এই কারণে, WHO এবং ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্সের মতো বিশ্বজনীন এবং জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ পরামর্শ দেয় যেন প্রত্যেক শিশুকে সঠিক সময়ে হেপাটাইটিস এ প্রতিরোধক টিকা দেওয়া হয়1,7। আরও তথ্য জানতে আপনার শিশুর চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।
রেফারেন্স:
সতর্কীকরণ: জনস্বার্থে প্রচারিত, সৌজন্যে GlaxoSmithKline Pharmaceuticals Limited, ডঃ অ্যানি বেসান্ত রোড, ওয়ার্লি, মুম্বাই ৪০০ ০৩০, ভারত। এই লেখনিতে প্রদত্ত তথ্যগুলির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র সাধারণ সতর্কতা গড়ে তোলা। এখানে কোনও রকম চিকিৎসা সম্পর্কিত পরামর্শ প্রদান করা হয়নি। আপনার কোনও চিকিৎসা সম্পর্কিত জিজ্ঞাস্য থাকলে, কিংবা কোনও প্রশ্ন বা আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উদ্বেগ থাকলে, আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। অনুগ্রহ করে আপনার শিশুর চিকিৎসকের সাথে প্রতিরোধমূলক রোগের জন্য উপলব্ধ টিকার বিস্তারিত তালিকা নিয়ে বিশদে পরামর্শ করুন এবং প্রতিটি রোগের জন্য সঠিক সময়ে টিকাকরণ সম্পূর্ণ করুন। GSK প্রোডাক্ট ব্যবহারের ফলে কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলে অনুগ্রহ করে কোম্পানিকে বিষয়টি india.pharmacovigilance@gsk.com –এ মেল করে জানান।
CL code: NP-IN-HAV-OGM-210005 , DoP Jul 2021
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy