দুধ চায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক হয় না সকলের। দুগ্ধজাত পণ্যে অনেকেরই পেটে সহ্য হয় না। ফলে দুধ চায়ের বদলে ভাল পাতার চা অথবা নানাবিধ ঔষধি গুণসম্পন্ন উপাদানমিশ্রিত চা খেতে পছন্দ করেন তাঁরা। কিন্তু স্বাস্থ্যের কথা যদি ভাবতেই হয়, তা হলে আগাগোড়া সব দিকই চিন্তা করা উচিত। যেখানেই পিছিয়ে থাকেন অনেকে।
গরম চায়ের সঙ্গে কী কী খাওয়া উচিত আর কী কী নয়, তা নিয়ে নানাবিধ প্রশ্ন ওঠে। তবে এমন তিনটি খাবারের কথা উল্লেখ করা হল, যেগুলির বদনাম নেই একেবারেই। সেই খাবারগুলি স্বাধীন ভাবে খেলে হয়তো কোনও ক্ষতিই নেই, কিন্তু চায়ের সঙ্গে মিলিয়ে দিলে, উপকারের বদলে অপকারই হবে বেশি।
পুষ্টিবিদ দিশা শেঠি তাঁর সমাজমাধ্যমে তিনটি খাবারের সন্ধান দিয়েছেন, যা আপনার চায়ের সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়।

চায়ের সঙ্গে হলুদ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ। ছবি: সংগৃহীত।
হলুদ
অনেকেই হলুদ দেওয়া চা খেতে ভালবাসেন। সুগন্ধ এবং সুফলের (বিতর্কিত) কথা চিন্তা করেই নিজেদের ডায়েটে যোগ করেছেন তাঁরা। যে হেতু ভারতীয় হেঁসেলে হলুদ খুবই প্রয়োজনীয় এবং উপকারী উপাদান, তাই হলুদ চা নিয়ে খুব বেশি ভাবিত নন তাঁরা। কিন্তু দিশা শেঠি চায়ের সঙ্গে হলুদ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। এই অভ্যাস হজমশক্তিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে বলে দাবি পুষ্টিবিদের।
শাকসব্জি
মুচমুচে পালং পাতা বা ধনেপাতার পকোড়া দিয়ে চা খেতে ভালবাসেন অনেকেই। ধারণা, সব্জির উপকারিতা খানিক হলেও তাতে থেকে যায়। কিন্তু পুষ্টিবুদের মতে, শাকসব্জির সঙ্গে চা খাওয়াও উচিত নয়। তিনি বলেন, "কখনও চায়ের সঙ্গে সবুজ শাকসব্জি খাবেন না। কারণ চায়ে ট্যানিন থাকে এবং শাকসব্জিতে আয়রন। এর ফলে আয়রণ শোষণ করতে পারে না শরীর।”
আরও পড়ুন:
বাদাম
চায়ের সঙ্গে বাদাম খাওয়া সম্পূর্ণ রূপে এড়িয়ে চলা উচিত বলে দাবি পুষ্টিবিদের। কারণ চায়ে ট্যানিন থাকে, যা ফেনোলিক অ্যাসিড থেকে প্রাপ্ত একটি জটিল রাসায়নিক পদার্থ। বাদামের আয়রনের সঙ্গে ট্যানিনের মিশ্রণে শরীরে ক্ষতি হয়।