রোজের জলখাবার হতে হবে স্বাস্থ্যকর। কিন্তু রাঁধতে বেশি সময় লাগলে চলবে না। তাই কাজে বেরোনোর আগে প্রায় দিনই চিঁড়ের পোলাও খান। কোনও দিন আবার টিফিনে চিঁড়ে-দই নিয়ে যান। তাতে শরীরটাও বেশ হালকা লাগে। পেটও ভর্তি থাকে অনেক ক্ষণ। কিন্তু খেয়াল করে দেখেছেন, চিঁড়ে খেলেই পেটের নানা রকম সমস্যা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের কষ্টে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে। চিঁড়ে তো এমনিতে পেটের জন্য ভাল। তা হলে এমন সমস্যা হয় কেন?
পুষ্টিবিদ শ্বেতা সাহু বলছেন, চিঁড়ে এমনিতে নিরীহ। তা সত্ত্বেও রোজ খাওয়া ভাল নয়। কারণ, চিঁড়ে খেয়ে সকলে হজম করতে পারেন না। ফলে অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। তবে যাঁরা শারীরিক ভাবে সক্রিয়, তাঁদের কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
আরও পড়ুন:
চিঁড়েতে কী এমন আছে?
চিঁড়েতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি। তুলনায় ফাইবার কম। সকলের হজমশক্তি সমান নয়। কার্বোহাইড্রেট পরিপাক করতে সময় লাগে। আবার চিঁড়ে অন্ত্রের জন্যও তেমন সুবিধাজনক নয়। কারণ, চিঁড়েতে ফাইবারের পরিমাণ কম। যাঁদের হজমশক্তি ভাল নয়, তাঁদের গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে পদ্ধতি জানা থাকলে চিঁড়েকেও সহজপাচ্য করে তোলা যায়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, চিঁড়ে দিয়ে স্মুদি তৈরি করে খেতে পারেন। দুপুরে খেতে পারেন চিঁড়ে এবং ডাল দিয়ে তৈরি স্যুপ। সে ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।
কী ভাবে তৈরি করবেন চিঁড়ের স্মুদি?
ব্লেন্ডারে চিঁড়ে, টক দই, কলা এবং সামান্য মধু নিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। গ্লাসে ঢেলে উপর থেকে নানা ধরনের বাদাম, বীজ এবং ফলের কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন। সকালের জলখাবার হিসাবে দিব্য লাগবে।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে তৈরি করবেন চিঁড়ের স্যুপ?
এক মুঠো মুসুর ডাল এবং একমুঠো চিঁড়ে সেদ্ধ করে নিন। তার পর যেমন ভাবে ডাল সাঁতলানো হয়, তেমন ভাবেই কড়াইয়ে সামান্য তেল, আদাকুচি, জিরেগুঁড়ো এবং এক চিমটে হলুদ দিয়ে কিছু ক্ষণ ফুটিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, স্যুপের ঘনত্ব যেন খুব গাঢ় না হয়ে যায়।