বাড়ছে ভ্যাপসা গরম। হাঁসফাঁস অবস্থা চারদিকে। রোদে পুড়ে ঘরে ফেরার পর যদি এক গ্লাস ঠান্ডা ছাতুর সরবত কেউ হাতে তুলে দেয়, প্রাণ জুড়িয়ে যাবে! গ্রীষ্মের সময় ছাতুর সরবতে ভরসা রাখতে পারলে কিন্তু মন্দ হয় না। খেয়ে আরামও পাবেন, সঙ্গে রয়েছে একাধিক গুণাবলি।
গুরুগ্রামের মারেঙ্গো এশিয়া হাসপাতালের পুষ্টি ও খাদ্যতত্ত্বের সিনিয়র কনসালট্যান্ট নীতি শর্মা ছাতুর সরবতের উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করে: ফাইবার সমৃদ্ধ ছাতু অনেক ক্ষেত্রে হজমশক্তি বাড়ায়।
জলের অভাব পূরণ করে: প্রবল তাপে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। সেই সময়ে ছাতুর সরবত দারুণ উপকারী। তা ছাড়া অনেকে উপবাসের পর ছাতুর সরবত খেতে পছন্দ করেন। এতেও ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে: ছাতু পুষ্টিকর শক্তির উৎস, যা প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: উচ্চ ফাইবার উপাদান পেট ভরাতে সাহায্য করে। তাই খিদের পেটে ছাতু খেয়ে নিলে ক্ষুধা নিবারণ হতে পারে। কিন্তু ফাইবারের কারণেই ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

ছবি: সংগৃহীত।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই)-এর মাত্রা কম ছাতুতে। অর্থাৎ, রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়া আটকাতে পারে ছাতু। তাই ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের জন্য বা যাঁরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাঁদের জন্য উপযুক্ত পানীয় ছাতুর সরবত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ছাতুর পুষ্টিকর উপাদানগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ সরবরাহ করে, যা শরীরকে সংক্রমণ এবং রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
হৃদ্রোগের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে: ছাতুর ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে।
স্বাস্থ্যকর ছাতুর সরবতের সহজ রেসিপি
গরমকে মোকাবিলা করতে ছাতুর সরবতের সহজ একটি রেসিপি জেনে নিতে পারেন। রোদ থেকে ফিরে চট করে নিজেই বানিয়ে খেয়ে নিলে আরাম এবং উপকার, দুই-ই পাবেন।
উপকরণ- দেড় লিটার জল, ৪ থেকে ৫ চামচ চিনি, ৬ চামচ ছাতু এবং এক চিমটে বিটনুন।
প্রণালী- একটি বড় পাত্রে দেড় লিটার জল নিয়ে তাতে ছাতু মিশিয়ে দিন। অনেক ক্ষণ ধরে গুলে নিন, যাতে দলা না থাকে। চিনি আর নুন যোগ করার পর আবার চামচ দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিয়ে খেয়ে ফেলুন। ইচ্ছে করলে লেবুর রসও মিশিয়ে নিতে পারেন।