সংসারের হেঁশেল ঠেলা কি চাট্টিখানি কথা! সে হ্যাপা যাঁরা সামলান, তাঁরাই জানান। শুধু তো রাঁধাবাড়া নয়, নজর দিতে হয় সবখানে। ন্যাতা থেকে হাতা, থালা-বাটির পরিচ্ছন্নতা থেকে এঁটোকাঁটা পরিষ্কার— কোনও একটি বাদ গেলেই সমস্যা। কিন্তু এ সবের মাঝে কখনও গ্যাস অভেনের আগুনের দিকে চেয়ে দেখেছেন কি?
কখনও সেই শিখা দেখায় নীলচে। কখনও তার রং হয় কমলা বা হলুদ। জানেন কি, এই রং বদল কতখানি অর্থবহ?
সমাজমাধ্যম প্রভাবী বীরেন সালোত বলছেন, ‘‘নীল রঙের শিখার অর্থ হল, গ্যাস এবং অক্সিজেনের সমন্বয় ঠিক আছে। তবে আগুনের শিখার রং বদলে কমলা বা হলদেটে হলে নজর দেওয়া প্রয়োজন। গ্যাস এবং অক্সিজেন ঠিকমতো না মিশলে, গ্যাসের বার্নারে কোনও ময়লা জমে থাকলে বা অক্সিজেনের পরিবর্তে অন্য কোনও গ্যাসের মিশেল তৈরি হলে এমনটা হতে পারে।’’
সমাজমাধ্যম প্রভাবীর এই দাবি কতটা ঠিক? রন্ধনশিল্পী শিপ্রা খন্নাও জানাচ্ছেন, গ্যাস অভেনের অগ্নিশিখার রং বদল অবশ্যই ইঙ্গিতবাহী। নীল শিখা থাকলে চিন্তার কোনও বিষয় নেই। গ্যাস এবং বাতাসের সঠিক মিশ্রণেই আগুনের রং এমন হয়। এতে গ্যাসের খরচ যেমন কম হয়, তেমনই দূষণের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরও পড়ুন:
তবে গ্যাসের বার্নারে ময়লা জমলে, সিলিন্ডারে গ্যাস ফুরিয়ে এলে অনেক সময় আগুনের শিখার রং বদল হয়। এমন হলে যেমন বাড়তি গ্যাস খরচ হতে পারে, তেমনই কার্বন মনোক্সাইড নির্গত হতে পারে। শিখা বলছেন, ‘‘আগুনের রং কমলা বা হলদে হলে সাধারণত ঠিকমতো কড়াই গরম হয় না, কখনও আবার কড়াইয়ের নীচে কালো দাগ হয়ে যায়। দুর্বল অগ্নিশিখা ঠিকমতো তাপ তৈরি করতে পারে না।’’ তাঁর পরামর্শ, এমন হলে অবশ্যই পেশাদার কারও সাহায্য নেওয়া প্রয়োজন।
কী কী দেখা দরকার?
· সিলিন্ডার থেকে গ্যাসের প্রবাহ যথাযথ আছে কি না।
· গ্যাসের পাইপ পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
· গ্যাস অভেনের বার্নারে খাবারের টুকরো, ময়লা ঢুকে যায়। তাতেই বার্নারের ছিদ্রমুখ বন্ধ হয়ে এমন হয় অনেক সময়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর বার্নার ভাল করে পরিষ্কার করা দরকার।
· পেশাদার কাউকে দিয়ে গ্যাস অভেন পরীক্ষা করিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।