জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য কন্ডোমের কোনও বিকল্প নেই। তবে শুধুমাত্র সেটিই নয়, সঙ্গমের সময়ে এক জনের শরীর থেকে অন্য জনের শরীরে নানা ধরনের জীবাণু যায়। সেগুলি নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এগুলিও আটকাতে পারে কন্ডোম।কিন্তু কন্ডোম কি পুরোপুরি নিরাপদ? না কি এরও কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে? খুব বিরল হলেও কখনও কখনও কন্ডোম সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। রইল সেই তালিকা।
• কারও কারও কন্ডোমের কারণে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। কন্ডোম যে উপাদানে তৈরি, সেটি ত্বকের সংস্পর্শে এলে অ্যালার্জি হয়। এই অ্যালার্জি শ্বাসকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে ল্যাটেক্স কন্ডোমের বদলে ল্যাম্বস্কিন কন্ডোম ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সেগুলি একটু দামি।
আরও পড়ুন:

• অনেকেরই মত, কন্ডোম অনুভূতির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। যদিও এখন প্রচণ্ড পাতলা কন্ডোম পাওয়া যায়। তার পরেও অনেকের অভিযোগ, সেই কন্ডোমেও অনুভূতি কিছুটা কমে।
• অনেক সময়ে সঙ্গমকালে কন্ডোম ছিঁড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের যৌনসম্পর্কে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। শুধু তাই নয়, যৌনসম্পর্ক থেকে হওয়া সংক্রামক রোগের আশঙ্কাও বাড়ে এর ফলে।
• সবচেয়ে সমস্যা হয় কন্ডোম খুলে গেলে। অনেকেরই এই সমস্যা হয়। যিনি কন্ডোম পরেছেন, তাঁর অর্গ্যাজমের ঠিক পরেই ঢিলে হয়ে যেতে পারে কন্ডোম। সময় মতো সেটি বার করে নিতে না পারলে এ ক্ষেত্রেও অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। বাড়ে যৌনসম্পর্ক থেকে হওয়া সংক্রামক রোগের আশঙ্কাও।