অ্যালার্জির সঙ্গে আপস করা যায় না কোনও ভাবেই। যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁরা জানেন, কতটা মারাত্মক হতে পারে অ্যালার্জি! ত্বকের উপরে অ্যালার্জি হলে তা চিনে নেওয়া সহজ। কিন্তু খাদ্যনালি, শ্বাসনালি বা চোখের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় হলে তা মারাত্মক আকার নিতে পারে। বিশেষ করে ‘অ্যালার্জিক রাইনাইটিস’ হলে অবস্থা গুরুতর হতে পারে।
অ্যালার্জিক রাইনাইটিস থেকে ত্বকের অ্যালার্জিও হয় অনেকের। ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া, চুলকানি, খসখসে হয়ে যাওয়া, ফোস্কা পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়, যাকে ‘অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’ বলে। ধুলোধোঁয়ায় অ্যালার্জির সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তখন ঘন ঘন ওষুধ খেতে হয়। নাকের ড্রপও নিতে হয়। এই সমস্যা সহজে দূর হয় না। তবে একে নিয়্ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা যেতেই পারে। সে জন্য রোজ সকালে খালি পেটে খেতে পারেন কিছু বিশেষ পানীয়।
শসা-পুদিনার শরবত
একটি মাঝারি মাপের শসা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এক মুঠো পুদিনা পাতা ধুয়ে রাখুন। মিক্সারে শসা ও পুদিনা জল দিয়ে ভাল করে পিষে নিন। এ বার এই মিশ্রণ ছেঁকে নিয়ে পান করুন।
আরও পড়ুন:
বিট-আপেলের স্মুদি
মাঝারি মাপের একটি বিট টুকরো করে কেটে নিন। একটি মাঝারি মাপের আপেলও ছোট ছোট টুকরো করে নিন। ব্লেন্ডারে ভাল করে পিষে নিয়ে ছেঁকে তার সঙ্গে অর্ধেক পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই পানীয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। রোজ খেলে অ্যালার্জির সমস্যা তো কমবেই, পাশাপাশি ত্বক ভাল থাকবে, হজমশক্তিও বাড়বে।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার টনিক
এক চা চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার এক গ্লাস জলে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে দারচিনির গুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে পান করতে হবে। খাওয়ার পরে এই পানীয় খেলে হজমও ভাল হবে।