শ্যাম্পুর ক্ষতিকারক রাসায়নিক বাড়িয়ে দিতে পারে ক্যানসারের আশঙ্কাও।
প্রতি দিনই বাজারে আসছে নতুন নতুন সাবান বা শ্যাম্পু। কিংবা পুরনো কোম্পানিরাই নিত্য নতুন নামে নিয়ে আসছে পুরনো প্রোডাক্টই। চলছে তার বিজ্ঞাপন। কিন্তু তার মধ্যে কতগুলি ভাল? কতগুলিই বা ক্ষতিকারক রাসায়নিকে ঠাসা?
হালে চিকিৎসকরা বলছেন, আমাদের রোজকার ব্যবহারের শ্যাম্পুর মধ্যে অনেকগুলিতেই গাদা রাসায়নিক থাকে, যা শরীরের জন্য খুব খারাপ। তাই শ্যাম্পু কেনার আগে কোন কোন রাসায়নিক-মুক্ত দেখে নেবেন, রইল তার তালিকা।
সালফেট: এটি এক ধরনের রাসায়নিক সাবান। বহু নামী শ্যাম্পু কোম্পানি নিজেদের প্রোডাক্টে এটি ব্যবহার করে। হালে সালফেট নিয়ে সচেতনতা বাড়ার পর বহু কোম্পানি জোর গলায় ঘোষণা করছে, তাদের শ্যাম্পু সালফেট-মুক্ত। কিন্তু কেন এই রাসায়নিক শরীরের জন্য ক্ষতিকারক? চিকিৎসকদের কথায়, সালফেটে ডাইঅক্সেন নামের উপাদান থাকে। এটি ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ায়। তা ছাড়া কিডনিরও মারাত্মক ক্ষতি করে এটি।
প্যারাবিন: শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে এই রাসায়নিক। কিছু ক্ষেত্রে স্তনের ক্যানসারের পিছনে এই রাসায়নিকের সক্রিয় ভূমিকার প্রমাণও পেয়েছেন চিকিৎসকরা। যদিও ক্যানসারের মতো অসুখ প্যারাবিন ঘটায়— এমন কথা এখনও প্রমাণ হয়নি। তবে এই রাসায়নিক যে শরীরের জন্য ক্ষতিকারক, তা প্রমাণিত।
ট্রাইক্লোসান: প্যারাবিনের মতোই এই রাসায়নিকটিও হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। তার বাইরে আরও নানা ধরনের ক্ষতি করে এটি। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, ওজন হ্রাস করে, এবং শরীরে নানা ধরনের কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি ঘটাতে থাকে।
পলিইথিলিন গ্লাইকল বা পিইজি: আপনার শ্যাম্পুতে এই উপাদান আছে কি? কেনার আগে ভাল করে দেখে নিন। কারণ এটিও শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। ক্যানসারের মতো রোগও ডেকে আনতে পারে এটি।
ফ্র্যাগ্রেন্স: যদিও এর আভিধানিক অর্থ সুগন্ধী। কিন্তু আসলে এটি বেশ কিছু রাসায়নিকের মিশ্রন। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৩১০০ রকমের রাসায়নিকের ব্যবহার হয় ফ্র্যাগ্রেন্স হিসেবে। এবং এর অনেকগুলিই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy