ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম থেকে উঠে এক কাপ গরম চায়ে চুমুক না দিলেই নয়। বাগান থেকে তোলা চা পাতার গন্ধে মনটা যেন ফুরফুরে হয়ে ওঠে। স্বাদের দিক থেকে দুধ চা পছন্দের হলেও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এখন দুধ-চিনি ছাড়াই চা খেতে বেশি পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে চায়ের মান ভাল হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু দাম দিয়ে চা পাতা কেনার পরেও কেন সেই পানীয়ে তেমন স্বাদ আসে না?
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চা পাতার মধ্যে কাঠের গুঁড়ো, রাসায়নিক, ধাতুচূর্ণ, কৃত্রিম রঙের মতো নানা রকম ভেজাল মেশানো হচ্ছে। যার ফলে চায়ের রঙে তেমন হেরফের নজরে না পড়লেও স্বাদের ফারাক বেশ বোঝা যাচ্ছে। পাতা তোলামাত্র সেই চা খাওয়া যায় না। তাকে দীর্ঘ একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সেই সময়েই অসাধু ব্যবসায়ীরা চায়ের মধ্যে ভেজাল মিশিয়ে দেন। যা সহজে খালি চোখে ধরা পড়ে না। তবে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, কয়েকটি ঘরোয়া পরীক্ষাতেই ধরা পড়বে, চা পাতায় ভেজাল মেশানো আছে কি না।
চায়ে ভেজাল আছে কি না ধরবেন কী ভাবে?
‘টি বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’ জানাচ্ছে, চায়ে ভেজাল আছে কি না, ধরার উপায় আছে। এক ঝলক দেখেই হয়তো বোঝা যাবে না। তবে কিছু পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
১) প্রথমে একটি ব্লটিং পেপারে কিছুটা চায়ের গুঁড়ো ঢালুন। সেই গুঁড়ো চায়ের উপর সামান্য জল ছিটিয়ে দিন। তার পর কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করে চায়ের গুঁড়ো সরিয়ে ব্লটিং পেপারটি আলোর সামনে নিয়ে গিয়ে দেখুন। ভেজাল চা কাগজের উপর কালো বা খয়েরি রঙের দাগ ফেলবে, কিন্তু চা খাঁটি হলে কাগজের উপর কোনও দাগ পড়বে না। এ বার ব্লটিং পেপারটি পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিন। চায়ে যদি ভেজাল থাকে, তা হলে দেখবেন ধোয়ার পরেও খয়েরি দাগ থেকে যাবে।
২) আরও একটি উপায় আছে বোঝার। একটি কাচের পাত্রে চায়ের গুঁড়ো নিন। এ বার ছোট চুম্বক নিয়ে ধীরে ধীরে চায়ের উপর ঘোরাতে থাকুন। চা খাঁটি হলে চুম্বকে কিছু লাগবে না। কিন্তু গুঁড়ো চায়ে লৌহচূর্ণ মেশানো থাকলে, তা চুম্বকের গায়ে আটকে যাবে। তখন বুঝবেন ভেজাল মেশানো আছে।
৩) চায়ের লিকার তৈরি পরে, ছাঁকনিতে যে চা পাতা আটকে যাবে সেগুলি তুলে নিয়ে দেখুন। খাঁটি চা হলে পাতাগুলি সহজে ছিঁড়বে না, রঙও উজ্জ্বল ও গাঢ় থাকবে। যদি ভেজাল মেশানো থাকে, তা হলে ভেজাল চা পাতার রং ফ্যাকাসে হয়ে যাবে। একটু টানলেই ছিঁড়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy