ফার্মেন্টেড খাবারের উপকারিতা। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর ক'টা দিন পেটের উপর যথেচ্ছ অত্যাচার করেছেন। তার জেরেই শুরু হয়েছে হজমের সমস্যা। এর পর পেটে মেদ জমতে শুরু করলে তা নিয়ে আবার অন্য এক বিপত্তি শুরু হবে। কারণ, উল্টোপাল্টা খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস সবচেয়ে আগে প্রভাব ফেলে বিপাকহারের উপর। তাই ডায়েট, খাবার, খাওয়ার ধরন নিয়ে সারা ক্ষণ পরীক্ষানিরীক্ষা চলতেই থাকে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পেট ভাল রাখতে মজানো খাবার বা ফার্মেন্টেড ফুডের জনপ্রিয়তা ইদানীং বেড়েছে। এই ধরনের ফার্মেন্টেড খাবারের মধ্যে ভাল ব্যাক্টেরিয়া পরিমাণ বেশি থাকে। তা অন্ত্র ভাল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই হজমের সমস্যায় ভুগছেন যাঁরা, তাঁদের টক দই, ছাঁচ, ঘোল, বাটারমিল্ক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পুষ্টিবিদেরা বলেন, হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময়ে দারুণ ভাবে কাজ করে এই মজানো খাবারগুলি। রোজকার খাবারে সঙ্গে এই সব উপাদান যোগ করলে অন্ত্রের স্বাস্থ্যও উন্নত হয়। দক্ষিণী খাবারেও এই ‘ফার্মেন্টেশন’ এর প্রভাব লক্ষ করা যায়। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শুধু ইডলি, দোসা নয়, এখন ভারতের বাজার ছেয়ে গিয়েছে কিমচি, মিসো, গ্রিক ইয়োগার্ট এবং অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের মতো ‘ফার্মেন্টেড’ খাবারে। এই খাবারগুলির মধ্যেও প্রোবায়োটিকের পরিমাণ অনেকটাই বেশি।
পেট ভাল রাখতে প্রতি দিনের খাবারে আর কী কী যোগ করা যেতে পারে?
১) কেফির:
যাঁদের পেটে দুধ সহ্য হয় না, তাঁরা ছানা, দই কিংবা ইয়োগার্ট খেয়ে থাকেন। এখন তার সঙ্গে যোগ হয়েছে কেফিরও। স্বাদ অনেকটা ইয়োগার্টের মতোই। তবে এতটা ঘন নয়। তাই স্মুদি হিসেবে সহজেই খাওয়া যায়।
২) কিমচি:
কোরিয়ার ঐতিহ্যশালী একটি খাবার হল কিমচি। বিভিন্ন সব্জি মজিয়ে আচারের মতো করেই তৈরি করতে হয় বিশেষ এই খাবারটি। টক এবং ঝালের মিশ্রণে তৈরি এই আচার স্যান্ডউইচ, রুটি বা পরোটার র্যাপের মধ্যে দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
৩) কম্বুচা:
খাবার এবং পানীয়ের জগতে বেশ কয়েক বছর ধরে কম্বুচা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই কম্বুচা হল এক ধরনের মজানো চা। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, প্রোবায়োটিক এবং প্রাকৃতিক বেশ কিছু অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই পানীয়, সোডা বা অন্যান্য চায়ের বিকল্প হয়ে উঠতেই পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy