বয়স ধরে রাখার চাবিকাঠি। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি বছর জন্মদিন এলেই অজানা এক ভয় ঘিরে ধরে। বয়স বাড়ছে এই সত্যিটা মেনে নিতে কষ্ট হয় অনেকেরই। কিছু দিন আগেও অবলীলায় যে সব কাজ করে ফেলতে পারতেন, তা এখন করতে গেলেই বাড়ির ছোটরা রে রে করে ওঠে। বেশি মিষ্টি খেলেও সকলে আড়চোখে তাকায়। মনে মনে হয়তো অনেকেই ভাবেন, এই বয়সেই কি এতটা সংযত হওয়ার প্রয়োজন আছে? বুড়িয়ে যাওয়ারও তো নির্দিষ্ট বয়স রয়েছে। ত্বক কুঁচকে যাওয়া বা চুলে পাক ধরার মতো লক্ষণগুলিকে না হয় প্রসাধনী দিয়ে ঢেকে দেওয়া যাবে। কিন্তু শরীর বা মনের বয়স ধরে রাখবেন কী ভাবে? চিকিৎসকেরা বলছেন, নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করলেই শরীর এবং মন চাঙ্গা থাকবে।
১) সাঁতার
গোটা দেহে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলার মোক্ষম অস্ত্র হল সাঁতার। যে কোনও বসেই সাঁতারের মতো ব্যায়াম অভ্যাস করা যায়। বয়স বাড়লে শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ব্যথার প্রকোপ বাড়ে। এই সমস্যা নিরাময় করতে পারে সাঁতার। তা ছাড়া, নিয়মিত সাঁতার কাটলে ফুসফুসে সংক্রমণজনিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২) তাই চি
বয়সের সঙ্গে বাড়ে দেহের ভার। কমতে থাকে শরীরের নমনীয়তা। মনোসংযোগের অভাবও ঘটতে দেখা যায়। বয়সজনিত এই সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভ্যাস করা যায় তাই চি। ‘লো-ইমপ্যাক্ট’ শরীরচর্চার সঙ্গে বিশেষ পদ্ধতিতে শ্বাস-প্রশ্বাসের সংযোগ ঘটানো এবং মনোসংযোগ করা— এই পুরো বিষয়টি শেখানো হয় তাই চি-তে। বিভিন্ন গবেষণা দেখা গিয়েছে, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে, মস্তিষ্কের বয়সজনিত স্নায়ুর রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে বিশেষ এই ব্যায়াম।
৩) হাঁটা
বাড়ির কাজ সামলে সারা দিনে অন্য আর কিছু করার সময় পান না? অসুবিধে নেই। সকালে এবং রাতে— দু’বেলা ছাদে গিয়ে হাঁটুন। চিকিৎসকেরা বলছেন নিয়মিত হাঁটলে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। দেহের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এই ব্যায়াম। প্রতি দিন ৬ থেকে ১০ হাজার পা হাঁটতে পারলেই অনেক সমস্যার সমাধান হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy