শুষ্ক ত্বক পেলব করার টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
ঠান্ডার সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়। জল খাওয়ার প্রবণতাও কমে আসে। ফলে শরীরে তো বটেই, ত্বকেও জলের অভাব স্পষ্ট বোঝা যায়। তার উপর শীতে কাঁপুনি থেকে বাঁচতে বার বার চা, কফি খেলেও ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। অনেকেই আবার ঠান্ডার ভয়ে স্নান করছেন না। তার ফলেও ত্বক শুকিয়ে যাচ্ছে। তেল, বেশি ঘনত্বের ক্রিম মেখেও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ যেখানে-সেখানে চুলকাচ্ছে। সোয়েটার বা মোটা শীতপোশাক পরলে সমস্যা আরও চরমে ওঠে। যাঁদের সোরিয়োসিস, এগজ়িমার মতো সমস্যা রয়েছে বা যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাঁদের আরও বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময়ে প্রসাধনীর মধ্যে থাকা রাসায়নিক ত্বকের এই অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে গায়ে ক্রিম বা লোশন না মেখে প্রাকৃতিক তিনটি উপাদান মাখতেই পারেন।
১) নারকেল তেল
প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার হল নারকেল তেল। ত্বকের শুষ্কতা কাটিয়ে ত্বককে আর্দ্র করে তুলতে সাহায্য করে এই তেল। এগজ়িমা, সোরিয়োসিসের মতো ত্বকের সমস্যা থাকলেও এই তেল নিরাপদ। তবে নারকেল তেল যেন ভেজালমুক্ত হয়, সে বিষয়ে আগে নিশ্চিত হতে হবে।
২) অ্যালো ভেরা জেল
নারকেল তেলের মতো ত্বকের জন্য নিরাপদ আরও একটি উপাদান হল অ্যালো ভেরা জেল। ত্বকের যে কোনও ধরনের সংক্রমণ রুখে দিতে পারে এই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার। ভিটামিন এ এবং ই-র গুণে ভরপুর অ্যালো ভেরার প্রায় ৯০ শতাংশই জল। তাই ত্বকের জলের ঘাটতি পূরণ করতে এই উপাদানের জুড়ি মেলা ভার।
৩) হলুদ
ত্বকের যে কোনও সমস্যার গোপন সমাধান হল হলুদ। মুখে চন্দন, বেসন বা নিমপাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদের মিশ্রণ বহু কাল থেকেই রূপচর্চায় মেয়েদের টোটকা। হলুদের মধ্যে থাকা ‘কারকিউমিন’ ত্বকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে, প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। র্যাশ, ব্রণের সমস্যায় দারুণ কাজ করে হলুদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy