চুলের যত্নে চাল ধোয়া জলের ব্যবহার এ দেশে তেমন প্রচলিত ছিল না। তবে কোরিয়ান প্রসাধনী জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকে চাল ধোয়া জলের কদর বেড়েছে। ত্বকে তো বটেই, এখন কন্ডিশনার হিসাবে চাল ধোয়া জল ব্যবহার করেন অনেকে। তবে রূপচর্চা ছাড়াও চাল ধোয়া জলের আরও অনেক গুণাগুণ রয়েছে। তাই সেই জল ফেলে না দিয়ে ভাল করে সংরক্ষণ করে রাখুন। আর শিখে নিন কোথায় কী ভাবে তা ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন:
১) রান্নার কাজে:
কিনোয়া, ডালিয়া রান্না করতে, স্যুপ তৈরিতে কিংবা সব্জি সেদ্ধ করতে ব্যবহার করা যায় চাল ভেজানো জল। স্যুপ ঘন করতে কর্নফ্লাওয়ারের বদলে ভাতের ফ্যান ব্যবহার করা হয় বহু রেস্তরাঁয়। সেদ্ধ সব্জির ম্লান স্বাদ বদলে দিতে পারে চাল ভেজানো জল।
২) গাছে:
দোকান থেকে সার কিনে গাছে দেওয়ার অনেক ঝামেলা। পরিমাণে একটু এ দিক-ও দিক হয়ে গেলে গাছ শুকিয়ে যেতে পারে। কোন সার কোন গাছে দেওয়া যায়, তা না জেনে ব্যবহার করাও ঠিক নয়। তবে, এত ঝক্কি পোহাতেই হয় না, যদি চাল ভেজানো জল গাছে দিতে পারেন। চাল ভেজানো জলের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, নাইট্রোজেন, ফসফরাসের মতো উপাদান। গাছের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই উপাদানগুলি গুরুত্বপূর্ণ।
৩) ওজন নিয়ন্ত্রণে:
ওজন নিয়ন্ত্রণে শরীরচর্চা, ডায়েট— সব করছেন। কখনও চাল ধোয়া জল খেয়ে দেখেছেন কি? নিয়মিত খেলে বিপাকহার ভাল হবে, মেদও ঝরবে তাড়াতাড়ি। এই পানীয়ে ক্যালোরি নেই বললেই চলে। বাজারচলতি নানা ধরনের পানীয়ে কৃত্রিম চিনি থাকে। বদলে চাল ধোয়া জল দিয়ে পানীয় তৈরি করে নিতে পারেন সহজেই।