ছবি: সংগৃহীত।
শীত আসার আগে যেমন চারপাশটা ধূসর হয়ে যায়, তেমনই ম্লান হতে শুরু করে ত্বক। তাই এই সময় থেকেই ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কারও ত্বক শুষ্ক, কারও আবার র্যাশের সমস্যা, কারও ত্বক স্পর্শকাতর। মরসুম বদলের সময়ে এই ধরনের সাধারণ সমস্যাগুলিই আরও বড় হয়ে দেখা দেয়। তাই আগেভাগে একগুচ্ছ প্রসাধনী কিনে যখন যেটা পছন্দ, মাখতে শুরু করলেন। রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, তাতে কিন্তু বিশেষ সুবিধা হবে না। ত্বক ভাল রাখতে হলে একটি রুটিন মেনে চলা জরুরি। কোন প্রসাধনী কখন মাখতে হয়, সে বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে ভস্মে ঘি ঢালা হবে। এ ক্ষেত্রে এক সপ্তাহের জন্য একটি রুটিন তৈরি করা যেতে পারে। ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজ়িং, এক্সফোলিয়েট, প্যাক, স্টিম— কোন দিন কোনটি করবেন, দেখে নিন।
১) দিনে দু’বার সিটিএম
মুখ পরিষ্কার রাখতে বলার মানে অতিরিক্ত ক্লিনজিং, টোনিং বা ময়েশ্চারাইজ়িং (একত্রে সিটিএম) করা নয়। এই অভ্যাসে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব নষ্ট হয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। তাই ঘুম থেকে উঠে এবং শুতে যাওয়ার আগে, এই দু’বার সিটিএম করাই যথেষ্ট।
২) সপ্তাহে দু’দিন স্ক্রাব
মুখ থেকে ছাল উঠতে দেখলেই ভাল করে মুখে স্ক্রাবিং করে ফেললে কিন্তু হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তৈলাক্ত ত্বকে অতিরিক্ত স্ক্রাবিং করলে তৈলগ্রন্থিগুলি সক্রিয় হয়ে যায়। সেখান থেকে তেল নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে গেলে ত্বকে র্যাশ, ব্রণের সমস্যা বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
৩) সপ্তাহে দু’দিন প্যাক
ত্বকের ধরন অনুযায়ী যে কোনও প্যাক মুখে মাখতে পারেন। তবে সপ্তাহে দু’দিনের বেশি নয়। ত্বকের পোড়া ভাব তুলতে প্যাক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, অতিরিক্ত প্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়। ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে।
৪) এক দিন কিছু করবেন না
অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। সপ্তাহে একটা দিন শুধু জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তবে, বাইরে থেকে ধুলো মেখে এলে শুধু জল দিয়ে মুখ ধুলে হবে না। তাই যে দিন বাড়ি থেকে বেরোবেন না, তেমন একটি দিন বেছে নিন।
৫) গরম জলের ভাপ
মুখের উন্মুক্ত রন্ধ্রে আটকে থাকা ব্ল্যাকহেড্স, হোয়াইট হেড্স সহজে মুখ থেকে বেরোতে চায় না। কিন্তু, মুখে থাকলে দেখতেও খারাপ লাগে। সালোঁয় না গিয়ে বাড়িতেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহে এক দিন মুখে গরম জলের ভাপ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy