হলদেটে মাশরুমটি দেখতে খাসা। রঙে ও রূপে আর পাঁচটা সাধারণ মাশরুমের থেকে আলাদা। এর দামও ধরাছোঁয়ার বাইরে। এক কিলোগ্রাম মাশরুমের দাম শুনলে চমকে উঠতেই হয়। নয় নয় করেও ৪০ হাজার টাকা। কোথাও আবার আরও বেশি। কী এমন আছে এই মাশরুমে?
বিরল প্রজাতির মাশরুমটি হিমালয়ের পার্বত্য এলাকাতেই জন্মায়। বছরের নির্দিষ্ট সময়েই এর ফলন হয়। এর নাম গুচি মাশরুম। অন্যান্য মাশরুমের মতো যেখানে-সেখানে এটি ফলানো যাবে না। হিমালয়ের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায়, বিশেষ আবহাওয়াতেই এর ফলন হবে। এর স্বাদও নাকি অতুলনীয়। পুষ্টিগুণেও সেরা। সে কারণেই গুচি মাশরুম দুর্মূল্য।
এই মাশরুম নিয়েই এখন গবেষণারত বিজ্ঞানীরা। দেশের হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীরে মাশরুমটি ফলানোর চেষ্টা চলছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই মাশরুমটিতে বিপুল পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। ভারতীয়রা সবচেয়ে বেশি ভোগেন ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতেই। সেই চাহিদা নাকি পূরণ করতে পারবে এই মাশরুম। এটি খেলে আর ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার দরকারই পড়বে না। ভিটামিন ডি শুধু নয়, যে কোনও ভিটামিনের ঘাটতিই পূরণ করতে পারবে এই মাশরুম। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও এটি ওষুধের মতো কাজই করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও নাকি তাঁর ডায়েটে এই মাশরুমটি রেখেছেন।
আরও পড়ুন:
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গুচি মাশরুমকে কাজে লাগানোর কথা ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। এই মাশরুম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। এতে থাকা আয়রন ও ফসফরাস রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করতে পারে। এর প্রদাহনাশক গুণও রয়েছে। প্রদাহজনিত কারণে যে সব অসুখ মাথাচাড়া দিচ্ছে, সেগুলিকে নির্মূল করতেও নাকি কাজে লাগানো যেতে পারে এই মাশরুমটিকে। ক্যানসারের চিকিৎসায় এর কার্যকারিতা নিয়েও গবেষণা চলছে বলে জানা গিয়েছে।