Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
FOODS

গলা-বুক জ্বালা, চোঁয়া ঢেকুর প্রায়ই ভোগায়? ওষুধ ছাড়াই মুক্তি পান এ সব খাবারে

বুঝি। আমাদের ত্বকে অ্যাসিড পড়লে যেমন জ্বালা করে, তেমনই খাদ্যনালীর পথে অ্যাসিড চলে এলেও সেখানে জ্বালা করে। এই কারণেই গলা-বুক জ্বলতে থাকে আমাদের। তবে খাবার পাতে কিছু বিশেষ খাবার রাখলে এই গলা-বুক জ্বালার প্রবণতা ঠেকিয়ে রাখা যায়।

গলা জ্বালা, চোঁয়া ডেকুর ঠেকাতে নজর দিন খাওয়ার পাতে। ছবি: শাটারস্টক।

গলা জ্বালা, চোঁয়া ডেকুর ঠেকাতে নজর দিন খাওয়ার পাতে। ছবি: শাটারস্টক।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:৪২
Share: Save:

অম্লের প্রভাবে গলা-বুক জ্বালা থেকে চোঁয়া ঢেকুর, এই সমস্যায় পড়তে হয় কমবেশি সকলকেই। এই সমস্যা এতটাই প্রচলিত যে অনেকেই খাওয়াদাওয়ার পর গলা-বুক জ্বালার হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে নিয়মিত জোয়ান বা হজমের বড়ি খেয়ে থাকেন।

আমাদের পাকস্থলীতে পরিপাকের কাজের জন্য অ্যাসিড জমা থাকে। এ বার খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, অতিরিক্ত তেল-মশলার প্রভাবে পাকস্থলীতে এই অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। উপচে পড়া অ্যাসিড নিয়ে পাকস্থলী পড়ে মহা ঝঞ্ঝাটে। সে তখন তার উপরের কপাটিকা ফাঁক করে কিছুটা অ্যাসিড বাইরে বার করে দেয়।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, ‘‘খাবার যাওয়ার পথ যেহেতু একটাই, খাদ্যনালী— তাই এই অ্যাসিড পাকস্থলীর কপাটিকা থেকে সোজা খাদ্যনালীতে চলে আসে। খাদ্যনালীটি যেহেতু হার্টের প্রায় পাশ দিয়েই গিয়েছে তাই মনে হয়, হৃদযন্ত্রেই জ্বালাপোড়া হচ্ছে বুঝি। আমাদের ত্বকে অ্যাসিড পড়লে যেমন জ্বালা করে, তেমনই খাদ্যনালীর পথে অ্যাসিড চলে এলেও সেখানে জ্বালা করে। এই কারণেই গলা-বুক জ্বলতে থাকে আমাদের। তবে খাবার পাতে কিছু বিশেষ খাবার রাখলে এই গলা-বুক জ্বালার প্রবণতা ঠেকিয়ে রাখা যায়।’’

আরও পড়ুন: জল খেতে প্রায়ই ভুলে যান? এ সব কৌশল অবলম্বন করুন

অম্লের প্রভাবে এই গলা-বুক জ্বালা থেকে বাঁচতে তাই খাবার পাতে রাখুন বিশেষ কিছু খাবারদাবার।

কলা: কলা এমন এক ফল, যাতে অম্লের মাত্রা খুব কম, সঙ্গে ফাইবারের মাত্রা বেশি। ফাইবার বেশি থাকায় গলা-বুক জ্বালার সঙ্গে সহজেই লড়তে পারে এই ফল। তাই বদহজম ও অম্লের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে প্রতি দিন ডায়েটে রাখুন এই ফল।

ওটমিল: শরীরের অতিরিক্ত অ্যাসিড শোষণ করার ক্ষমতা রাখে ওটস। এ ছাড়া এতে ফাইবারের পরিমাণও খুব বেশি। তাই বদহজম তো রোখেই সঙ্গে অম্ল শোষণ করে গলা-বুক জ্বালা থেকেও বাঁচায়। তাই সকাল- সন্ধে টিফিনে স্বচ্ছন্দে রাখতে পারেন ওটস।

আদা: খাবার পাতে রাখুন আদার ছোঁয়া। ইনফ্লেমটরি হওয়ায় হজমে সাহায্য তো করেই সঙ্গে নানা রোগ প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই আদা। আদায় থাকা জিঞ্জারল অম্লের সঙ্গে লড়ে তাকে কমজোরি করে তোলে।

আরও পড়ুন: এই সব উপসর্গ দেখা দিলেই সাবধান! অজান্তে ফ্যাটি লিভারের শিকার হচ্ছেন না তো?

সবুজ শাক-সব্জি: খাওয়ার পাতে যতটা পারেন সবুজ শাক-সব্জি রাখুন। সহজপাচ্য ও নানা শারীরিক সমস্যার সমাধানে তা তো কাজে লাগেই, সঙ্গে এ থেকে কোনও রকম অ্যাসিড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বলে গলা-বুক জ্বালাও ঠেকানো যায়।

টক দই: খাওয়াদাওয়ার পর পরিমিত পরিমাণে টক দই পাকস্থলী ঠান্ডা রাখে। ভাল ব্যাকটিরিয়াদের উদ্দীপ্ত করে পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। তবে খালি পেটে টক দই বা অনেকটা টক দই একেবারে খেলে তা ক্ষতি করে শরীরের। দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিডের প্রভাবে তখন শরীরে অম্লের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই পরিমিত পরিমাণে ও খাওয়াদাওয়ার পর খান টক দই।

অন্য বিষয়গুলি:

Heartburn Fitness Tips Health Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE