— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কর্মজীবনের দীর্ঘ ২০-৩০ বছর এক রুটিনে থাকার পর হঠাৎ অবসর শরীর এবং মনের উপর চাপ ফেলে। সকলে সেই চাপ সামলে উঠতে পারেন না। দিনে দিনে শরীর খারাপ বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি জটিল হলে চিকিৎসক এবং ওষুধ ছাড়া এক পা ফেলার উপায় থাকে না। তবে মনোবিদেরা বলছেন, বয়স ষাটের কাছাকাছি পৌঁছনোর আগে থেকেই যদি প্রতি দিনের রুটিনে একটু একটু করে কিছু কাজ যোগ করতে পারা যায়, তা হলে জীবনের গতি অনেকটা সাবলীল হয়ে উঠতে পারে। বয়স বাড়লেও শরীর এবং মনের উপর তার কোনও প্রভাব পড়বে না।
১) শরীরচর্চা
রোজ অন্ততপক্ষে আধ ঘণ্টা শরীরচর্চা করলেই অনেক রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাস ছয়েক টানা শরীরচর্চা করলে ক্যানসারের মতো মারণরোগও ঠেকিয়ে রাখা যায়।
২) বাদাম খাওয়া
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি দিন এক মুঠো করে বাদাম খেলে অকালমৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটাই কমিয়ে ফেলা যায়। বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ই, কে, ম্যাগনেশিয়াম, কপারের মতো বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদান। তা বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাওয়া রোগগুলিকে বশে রাখতে সাহায্য করে।
৩) শোয়ার আগে বই পড়া
ফোনের স্ক্রিন চোখ থেকে সরিয়ে প্রতি দিন অন্তত একটি পাতা করে বই পড়ার চেষ্টা করুন। বয়স বাড়লে মানুষের ধৈর্য কমে আসে, মনোযোগের অভাবও হয়। স্মৃতিশক্তি ফিকে হতে শুরু করে। ২০১৬ সালের একটি গবেষণা বলছে, বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকা এই সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বই পড়ার অভ্যাস।
৪) গাছে জল দেওয়া
অনেকে বলেন, দীর্ঘ কর্মজীবন থেকে অবসরের পর বাগানচর্চা করে সময় কাটাবেন। মনোবিদেরা বলছেন, মন ভাল রাখতে এখন সবুজের সঙ্গে সময় কাটানোর নিদান দেওয়া হয় এবং তা ভীষণ ভাবে কার্যকরী। অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক বলছেন, অবসরের পর দিনে অন্তত এক ঘণ্টা গাছের সঙ্গে কাটালে বয়সজনিত অনেক রোগই ঠেকিয়ে রাখা যায়।
৫) বন্ধুর সঙ্গে কথা বলা
সারা দিনে অন্তত মিনিট দশেক এমন কোনও এক জনের সঙ্গে কথা বলার অভ্যাস করুন, যার সঙ্গে চট করে দেখা হয় না। গবেষণা বলছে, পরিবার-পরিজনের বাইরে সুস্থ আলোচনা আসলে বেঁচে থাকার রসদ জোগতে সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy