Advertisement
০৩ অক্টোবর ২০২৪
Steps to be Successful

পরিশ্রম সত্ত্বেও সাফল্য অধরা? রোজের কোন কোন অভ্যাস বদলে দিতে পারে জীবন

সাফল্য না আসার জন্য ভাগ্যকে না দুষে বরং অভ্যাস ও দৃষ্টিভঙ্গিতে বদল আনা জরুরি। রোজের অভ্যাসে সামান্য বদল আনলেই সাফল্য ধরা দেবে অচিরেই।

These are the most often-cited habits of successful people

সাফল্য আসবে হাতের মুঠোয়, যদি কিছু অভ্যাসে বদল আনেন। ছবি: ফ্রিপিক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৩৬
Share: Save:

সফল মানুষ। চারপাশে কেবল প্রশংসার দৃষ্টি আর মুগ্ধ চাহনি। এমন সাফল্য কে না চান। হয়তো দেখলেন, স্কুলে আপনারই সহপাঠী যিনি পড়াশোনায়, রেজাল্টে আপনার থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়েই ছিলেন, তিনি আজ সাফল্যের সিঁড়িতে চড়ে ফেলেছেন। আর আপনি এখনও অভিযোগ, অসন্তোষে দিন কাটাচ্ছেন। সাফল্যের না আসার জন্য ভাগ্যকে না দুষে বরং অভ্যাস ও দৃষ্টিভঙ্গিতে বদল আনা জরুরি। রোজের অভ্যাসে সামান্য বদল আনলেই, সাফল্য ধরা দেবে অচিরেই। মনের সব তিক্ততাও কেটে যাবে।

১) এক ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে উঠুন। দেরি করে ঘুম থেকে উঠে সময় না পাওয়ার বাহানা না দিয়ে, বরং ঘুমোনোর সময় ও সকালে ওঠার সময়ে বদল আনুন। প্রথম দিকে একটু অসুবিধা হলেও ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে। তাড়াতাড়ি উঠতে পারলে সারা দিনে সময় অনেক বেশি পাওয়া যাবে। নিজেকে যে কোনও কাজের জন্য প্রস্তুত করে নিতে পারবেন।

২) গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে রাখবেন না। সময়ে কাজ শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। রোজ কী কী করবেন তার তালিকা বানিয়ে ফেলুন।

৩) জীবনে কী করতে চান সেই বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকা জরুরি। সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের পুরো দিনটা মনে মনে ছকে ফেলুন। সারা দিনে কী করতে চান, কোন কাজটা আপনাকে লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে তা মনে মনে ভেবে নিন। চিন্তা-ভাবনায় ইতিবাচক হতে হবে।

৪) আলস্য পেয়ে বসতে দেবেন না। সব সময় নিজের লক্ষ্য সামনে রাখুন। এমন কাজ করতে হবে যাতে মনের উপর চাপ কমে যায়। নিজেকে উৎসাহ দিন। উদ্বেগ, দুশ্চিন্তাকে চেপে বসতে দেবেন না।

৫)দিনভর কাজে ক্লান্তি আসেই। নিজেকে সক্রিয় রাখতে তাই হালকা শরীরচর্চা করুন। রোজ ঘুম থেকে হালকা ব্যয়ামের রুটিন তৈরি করে ফেলুন। এতে পেশির শক্তি বাড়বে, রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়ে আপনার কর্মক্ষমতা বাড়বে।

৬) কাজের প্রতি নিষ্ঠা যেন না কমে। পেশাগত জীবনের শুরুতে যেমন পরিশ্রম করতেন, পরেও তা করতে হবে। সাফল্যের পথে কত দূর এগোনো সম্ভব, তা বুঝে সীমারেখা টানুন। গত বছর এ সময় কোথায় ছিলেন আর আজ কোথায় পৌঁছেছেন। যদি দেখা যায় ধীর গতিতে হলেও এগোচ্ছেন, চিন্তা নেই। কিন্তু পিছিয়ে পড়লেই সমস্যা।

৭) অপ্রয়োজনীয় কথা কম বলে, কাজ বেশি করতে হবে। তা হলেই কাজের প্রতি মনঃসংযোগ, একাগ্রতা বাড়বে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lifestyle Successfull Habits
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE