নতুন ছবির জন্য নিজেকে একেবারে বদলে ফেলেছেন কার্তিক আরিয়ান! অমন পেশিবহুল চেহারা তৈরি করলেন কী করে, আনন্দবাজার অনলাইনকে তা নিজেই জানালেন অভিনেতা।
সম্প্রতি কবীর খান পরিচালিত ছবি ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’-এর ট্রেলার কার্তিক জন্মস্থান, গোয়ালিয়রে খুব ধুমধামের সঙ্গে মুক্তি পেল। ফ্রিস্টাইল সাঁতারে দেশের প্রথম প্যারা-অলিম্পিক স্বর্ণপদক বিজয়ী মুরলীকান্ত পেটকারের জীবনী অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই ছবি। ট্রেলার মুক্তির আগে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন কার্তিক। অভিনেতা বলেন, ‘‘গোয়ালিয়র আমার নিজের শহর। আজ এখানে, আমার জীবনের বিশেষ দিনে আসতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। এই শহর আমাকে স্বপ্ন দেখতে সাহস জুগিয়েছিল। আমি যে ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছি এখন, সেই চন্দু কখনও হার মানে না, মুখ থুবড়ে পড়ে, হোঁচট খায়, আবার উঠে দাঁড়ায়। কিন্তু না জেতা পর্যন্ত চেষ্টা চলিয়া যায়, তেমন হতে আমাকে শিখিয়েছে এ শহর। ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’-এর গল্প অনেকটা আমার জীবনের মতো।”
তবে চন্দুর মতো দেখতে হয়ে ওঠা সহজ ছিল না কার্তিকের জন্য। তিনি বলেন, ‘‘গত দেড় বছর ধরে আমার শুধু একটাই লক্ষ্য ছিল, চন্দুর জন্য নিজেকে তৈরি করা। শুধুমাত্র একটা ছবিতে সব কিছু উৎসর্গ করে দেওয়াটা ঝুঁকির বিষয় ছিল ঠিকই, তা-ও চেষ্টা করে গিয়েছি।”
আরও পড়ুন:
‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’ ছবির চরিত্রে অভিনয় করার জন্য কার্তিক নিজের শরীরের গঠন একেবারেই বদলে ফেলেছেন। তার জন্য নিজেকে অনেকটা তৈরি করতে হয়েছে। নিজেই জানালেন, গত দেড় বছরে চিনি বর্জিত ডায়েট অনুসরণ করেছেন তিনি। কার্তিক বলেন, “নিজেকে অনেকটা রোবটের মতো লাগে। একদম প্রথম দিকে সন্দেহ হত নিজেকে নিয়ে। ভাবতাম পারব তো!”
কার্তিকের পছন্দের সব খাবারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। তাঁর সামনে কোনও রকম মিষ্টি খাবার রাখাই হত না। মিষ্টিজাতীয় খাবার তাঁর কাছে গত দেড় বছর অবৈধ ছিল। সেই নিয়ম আজও চলছে। চলবেও, যত দিন তিনি চন্দু চরিত্রে আটকে থাকবেন। কার্তিক জানান, ৩৯ শতাংশ বডিফ্যাট থেকে ৭ শতাংশ বডিফ্যাটে পরিণত হওয়ার সফর কঠিন। মনের উপরেও অনেক চাপ পড়েছে। তবে যাত্রা সফল হয়েছে। আগামী ১৪ই জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এই ছবি।