গুগ্লের সিইও সুন্দর পিচাই। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
গুগ্লের সিইও সুন্দর পিচাই মনে করেন, কোনও সংস্থা যদি তার কর্মীদের বিনামূল্যে দিনের খাবার দেয়, তবে তাতে কোম্পানির আর্থিক ক্ষতির থেকে লাভই হবে বেশি। এ ব্যাপারে কিছুটা ‘বাঙালি’ সুন্দর। মনে করেন আড্ডাই নতুন নতুন ভাবনার জন্ম দেয়।
কর্মীদের জন্য ‘ফ্রি মিল পলিসি’ রয়েছে গুগ্লেরই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সে প্রসঙ্গেই সুন্দর বলেছেন, ‘‘এর উপকার যে কতখানি, তা আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি। একসময়ে আমিও গুগ্লের কর্মী ছিলাম। সাধারণ কর্মীর মতো কাজ করেছি। আমার মনে আছে, ক্যাফেতে যাওয়া, সেখানে খাবারের টেবিলে কারও সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ হওয়া, ভাবনার আদানপ্রদান করতে পেরে কতখানি উত্তেজিত হয়ে পড়তাম। বিশ্বাস করুন, ওই যে উত্তেজনা, ওটাই যে কোনও সৃষ্টিশীলতার জ্বালানি।’’
সুন্দর ২০০৪ সালে গুগ্লে যোগ দিয়ছিলেন এক জন প্রডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে। তার পর থেকে কেটে গিয়েছে ২০ বছর। এখন সুন্দর গুগ্লের সিইও। বিনামূল্যে কর্মচারীদের দিনের খাবার নীতিতে বদল আনেননি তিনি। বরং সুন্দরের বক্তব্য, খাবার টেবিলের আড্ডায় নতুন নতুন ভাবনার জন্ম দেয়। এ ব্যাপারে একেবারে বাঙালি ঘরানায় বিশ্বাসী সুন্দর। সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘কর্মীরা যখন খোলামনে খাবারের টেবিলে জড়ো হন, তখনই যত অদ্ভুত ভাবনা মগজ থেকে বেরিয়ে আসে। অনেকে হয়তো ভাববেন গোটা সংস্থার কর্মীকে খাওয়াতে প্রচুর খরচ। কিন্তু তাতে যে উপকারটা হয়, তার কাছে ওই খরচ কিছুই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy