Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪

দূষণের অভিযোগে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের

সোনা গলানোর কারখানার দূষণে ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক সমস্যা হচ্ছে, এই অভিযোগে গ্রামবাসীদের একাংশ আন্দোলন শুরু করেছেন স্কুলের সামনে। স্কুলে ঢোকার মুখে পড়ুয়াদের বসিয়ে রেখে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। এর ফলে সোমবার থেকে চণ্ডীতলার নবাবপুরের কেষ্টরামপুর এফপি বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন কার্যত বন্ধ।

স্কুলের সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ ছাত্রছাত্রীদের। —নিজস্ব চিত্র।

স্কুলের সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ ছাত্রছাত্রীদের। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চণ্ডীতল‌া শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১২
Share: Save:

সোনা গলানোর কারখানার দূষণে ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক সমস্যা হচ্ছে, এই অভিযোগে গ্রামবাসীদের একাংশ আন্দোলন শুরু করেছেন স্কুলের সামনে। স্কুলে ঢোকার মুখে পড়ুয়াদের বসিয়ে রেখে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। এর ফলে সোমবার থেকে চণ্ডীতলার নবাবপুরের কেষ্টরামপুর এফপি বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন কার্যত বন্ধ।

প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির ওই স্কুলে শতাধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্কুলের পাশে সোনা গলানোরা একটি কারখানা থেকে দূষণ ছড়ানোয় পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়ছে। অনেকে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। সেই কারণেই ওই কারখানা বন্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা। এ নিয়ে প্রশাসন এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদনও জানানো হয়েছে।

আন্দোলনকারীদের তরফে স্কুলের দেওয়ালে পোস্টারও দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, স্কুলে ঢোকার মুখে প্লাস্টিক পাতা। সেখানে জনা পঞ্চােশক পড়ুয়া বসে। তাদের হাতে পোস্টার। মুজফ্ফর হোসেন নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘মেয়ে ক্লাস ওয়ানে পড়ে। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে বলে, ধোঁয়ায় চোখ জ্বালা করে, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। তাই কারখানা বন্ধের দাবি জানিয়েছি।’’

কিন্তু বাচ্চাদের পড়াশোনা বন্ধ করে এ ভাবে আন্দোলন কেন? বিক্ষোভকারীদের যুক্তি, মৌখিক ভাবে নানা জায়গায় বিষয়টি জানানো হয়। কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে এই রাস্তা নিতে হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুনীল চালকি বলেন, ‘‘বিষয়টি ঊদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ বিডিও (চণ্ডীতলা ১) পৃথ্বীশ সামন্ত বলেন, ‘‘বিষয়টি কিছুই জানি না। কেউ অভিযোগ জানালে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

গ্রামবাসীদেরই একাংশের বক্তব্য, ওই কারখানার মালিকের সঙ্গে কিছু লোকের বনিবনা না হওয়াতেই দূষণের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। কারখানা সূত্রের দাবি, পিছনের জমিতে যেতে রাস্তা তৈরির জন্য কিছুটা জায়গা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন কয়েক জন। তাতে রাজি না হওয়াতেই আন্দোলন করা হচ্ছে। কারখানার মালিক আলতাব হোসেন মোল্লা বলেন, ‘‘কালেভদ্রে চুল্লি চালাই। তা-ও রাতে। স্কুল চলাকালীন চুল্লি বন্ধই থাকে। ব্যাক্তিগত আক্রোশেই কারখানা বন্ধের চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘পঞ্চায়েত এলাকায় আরও অনেকগুলি এই ধরনের কারখানা রয়েছে। সেগুলির বিরুদ্ধে কোনও আন্দোলন হচ্ছে না।’’ বিক্ষোভকারীদের যুক্তি, অন্য কারখানাগুলি খোলা জায়গায় হওয়ায় সমস্যা হয় না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy