Advertisement
২৪ অক্টোবর ২০২৪
Career Tips

পেশা বদলাতে চাইছেন? এদিকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও যাচ্ছে না, কী কী মাথায় রাখলে সাফল্য আসবেই

নতুন পেশা বেছে নেওয়ার আগে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন। আবার যদি পেশা একেবারেই বদলে ফেলতে হয়, সেখানেও উৎকণ্ঠা কাজ করে। কী ভাবে নিজের মনকে প্রস্তুত করবেন, জেনে নিন।

Steps to change your career path at any age

নতুন ধরণের পেশার জন্য নিজেকে তৈরি করবেন কী ভাবে। ছবি: ফ্রিপিক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ ১৮:৩১
Share: Save:

ভারতে প্রতি পাঁচ পেশাদারের মধ্যে চার জনই পেশা বদলাতে চাইছেন। খুঁজছেন বেশি বেতনের কাজ। এমনটাই ধরা পড়েছে লিঙ্কডইনের গবেষণায়। অনেক বছর একটি সংস্থায় কাজ করার পর হয়তো আপনি ভাবছেন নতুন পথ অন্বেষণ করবেন। কিন্ত সেই সঙ্গে চিন্তাও হচ্ছে যে কোনটিকে গুরুত্ব দেবেন— নিজের শখ বা ভাল লাগাকে, নাকি যে কাজে এতদিন পারদর্শিতা অর্জন করেছেন তাকে। শখের বিষয় এবং পারদর্শিতার জায়গা যদি একে অন্যের সঙ্গে মিলে যায়, তবে খুবই ভাল। কিন্তু সব সময় তা হয় না।

ডিগ্রি পাওয়া মানেই কেরিয়ার তৈরি-- এখন আর তা সম্ভব নয়। নিজেকে গড়ে তুলতে হবে নিজেকেই। উন্নতি করতে হবে, অন্যদের থেকে শিখতেও হবে। সেই সঙ্গে নিজেকে ঘষেমেজে তৈরিও করতে হবে। আর নিজের পেশাগত জীবনের মধ্যগগনে থেকেও যদি মনে হয় পেশা বদলাবেন, তা হলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতেই হবে।

১) আগে ঠিক করুন কেমন পেশা চাইছেন। আপনি যে পেশায় ছিলেন তেমনই, না কি পেশাটিই বদলে ফেলতে চাইছেন। নির্দিষ্ট কিছু পেশার ক্ষেত্রে ডিগ্রি লাগে। যেমন, আইন, অর্থনীতির কোনও বিষয়ে কাজ করতে চাইলে, তার জন্য আলাদা আলাদা শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে। তা হলে সেই যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। না হলে, আপনি যে পেশায় এতদিন ছিলেন সেই মতোই পেশা বেছে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে এতদিনের অভিজ্ঞতাই যথেষ্ট।

২) সিভি আপডেট অবশ্যই করতে হবে। অনেকেই নতুন চাকরির দরখাস্ত জমা দেওয়ার সময়ে পুরনো সিভি-ই পাঠিয়ে দেন। সব সময়ে সিভি আপডেট করেই পাঠাতে হবে। নতুন নতুন কী কী কাজ করেছেন, কোন কোন বিষয়ে পারদর্শিতা অর্জন করেছেন, কর্মক্ষেত্রে কী কী স্বীকৃতি পেয়েছেন তা বিশদে উল্লেখ করতে হবে।

৩) পছন্দ, ব্যক্তিত্ব এবং প্রবণতা-- এই তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। সময়ের সঙ্গে পছন্দ পাল্টে যেতেই পারে। তখন কোনটি বেশি পছন্দের, সেটিই বাছাই করে নিতে হবে। যদি একদম ভিন্ন পেশায় যেতে চান, তা হলে তা নিয়ে আগে পড়াশোনা করে নিন। দরকার হলে ‘ইন্টার্নশিপ’-এর জন্য আবেদন করুন। সেই পেশায় দরকার এমন ছোট ছোট প্রজেক্ট ও ওয়ার্কশপে অংশ নিন। অভিজ্ঞতা যত বাড়বে ততই সুযোগ পেতে সুবিধা হবে।

৪) যে প্রশ্নটা নিজেকে করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা হল— কীসে দক্ষ? আরও কিছু জরুরি প্রশ্ন হল-- যা করছি তা কেন করছি? সেই কাজে কি আমি খুশি? আমি কি অন্যদেরও খুশি করতে পারছি? শুধু কি উপার্জনই করছি? নিজের মনের কথা শুনলে এবং নিজের পেশাগত জীবনে উন্নতির মানসিকতা থাকলে সাফল্য আসবেই।

অন্য বিষয়গুলি:

Motivation Career Advice
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE