Advertisement
২৪ অক্টোবর ২০২৪
Productive At Workplace

কাজে মন বসে না! লক্ষ্যপূরণে সমস্যা? কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই সমাধান হবে পেশাগত সমস্যার

অফিসে গেলেও কাজে মন বসছে না। লক্ষ্যপূরণ না হওয়ায় মানসিক উদ্বেগ বাড়ছে! কী ভাবে সমস্যার সমাধান হবে?

অফিসে গেলেও কাজে মন বসছে না! কী ভাবে সমাধান?

অফিসে গেলেও কাজে মন বসছে না! কী ভাবে সমাধান? ছবি: ফ্রি পিক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪ ১৬:০৮
Share: Save:

পেশাগত জগৎ জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে। বেসরকারি বা কর্পোরেট জগতের চাকরির ক্ষেত্রে ৯-১০ ঘণ্টা অফিসেই কেটে যায়। কখনও কখনও এই সময়টা আরও বেশি হয়। কাজের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন লক্ষ্যও থাকে। এই লক্ষ্যপূরণের বোঝা কাঁধে নিয়ে এগোতে গিয়ে কখনও পেশাগত জীবন ক্লান্তিকর লাগে। কখনও দীর্ঘ সময় অফিসে কাজ করলেও কাজ কিছুতেই শেষ হতে চায় না। কখনও আবার অফিস আসতেই বিরক্তি লাগে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত খারাপ লাগা বেশি দিন স্থায়ী হলে, তার প্রভাব পড়তে বাধ্য কেরিয়ারে। এমন হলে কী করবেন? কাজের করার ইচ্ছা, উদ্যম ফেরাবেন কী ভাবে?

মনঃসংযোগ

ব্যক্তিগত সমস্যা বা চিন্তাভাবনা মাথায় চলতে থাকলে, কাজে মনঃসংযোগের অভাব হবে। স্বাভাবিক ভাবেই কাজে ভুল হওয়া, কাজের গতি কমে যাওয়া, ইত্যাদি বিচ্যুতি হবেই। তাই প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে, ব্যক্তিগত সমস্যা কাজের জগতে যেন প্রভাব না ফেলে। মনের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে, সকালে কিছুটা সময় ধ্যানের অভ্যাস বা প্রাণায়াম করতে পারেন। এতে শরীর ও মন দুই-ই ভাল থাকবে।

উপযুক্ত কাজের পরিবেশ

অফিসে কাজের পরিবেশ যদি ঠিক থাকে, নিজস্ব ছন্দেই কাজ হবে। ভাল কাজের পরিবেশের জন্য সহকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয়, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সহযোগিতার মানসিকতা থাকা ভীষণ জরুরি। মাথায় রাখা দরকার, অফিসের কাজে ব্যক্তিগত দক্ষতা এবং যোগ্যতা প্রয়োজন, তেমনই সম্পূর্ণ বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব হলে, তার প্রভাব সামগ্রিক কাজে পড়তে বাধ্য। তাই অফিসের কাজের পরিবেশ সঠিক রাখতে, সহকর্মীদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে একটু গল্প, হালকা রসিকতা, মজাও প্রয়োজন। এতে চাপ খানিক কমে।

রুটিন

দিনের শুরুতেই কী কী কাজ আছে, কোন কাজের জন্য কতটা সময় লাগবে, পুরোটা যদি ভেবে নেওয়া যায়, কাজ সহজ হয়ে যায়। কোনটার পর কোন কাজটি করতে হবে তা মাথায় থাকলে, কাজে নিজে থেকেই গতি এসে যাবে। যদি দেখা যায়, কাজ শেষ করা যাচ্ছে না, তা হলে ঘড়ি ধরে কাজ করার অভ্যাস করতে পারেন। বা তলিয়ে ভাবতে পারেন সমস্যা কেন হচ্ছে? সেই মতো নিজেকেই সমাধান খুঁজতে হবে। কাজের অভ্যাস হয়ে গেলে, ধীরে ধীরে একই কাজে সময় ও পরিশ্রম দুই-ই কম লাগবে।

কথা বলতে হবে

অনেকেই মুখচোরা হন। কার্যক্ষেত্রে সঠিক ভাবে নিজেকে, কাজের ভাবনাকে প্রকাশ করতে পারেন না। আবার অন্যের ব্যবহারে বিরক্ত হলেও স্পষ্ট করে বলতে পারেন না। এমনটা হলেও চলবে না। কাজের প্রয়োজনে নিজেকেও খানিক বদলাতে হবে। অনেক সময় মন খুলে কথা বলতে না পারা, অন্যের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করতে না পারাটাও মানসিক উদ্বেগের কারণ হয়। কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী সকলের সঙ্গে সঠিক ভাবে কথা বলতে শিখতে হবে।

বিরতি

একটানা কাজ ভীষণ ক্লান্তিকর হয়ে যায়। অনেকে সময়ে কাজ করতে হবে ভেবে, বিরতি নেন না। এটা মোটেও ঠিক নয়। টানা কাজের ফলে মস্তিষ্ক, চোখ, হাত-সহ সমগ্র শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মাঝেমধ্যে একটু বিরতি নিয়ে নতুন উদ্যমে পরের কাজটা শুরু করতে পারেন। একটু চা-খাওয়া, আড্ডা বাড়তি উদ্যম জোগাতে পারে।

অন্য বিষয়গুলি:

Office work Workplace Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE