ছবি: সংগৃহীত।
মুম্বইয়ে আরব সাগরের উপরে ভয়ঙ্কর লঞ্চ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। মৃতদের মধ্যে ১০ জন সাধারণ নাগরিক এবং তিন জন নৌসেনার কর্মী। বুধবার বিকেল ৩টে ৫৫ মিনিটে মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে এলিফ্যান্টা গুহা যাওয়ার সময়ে ‘নীলকমল’ নামের একটি লঞ্চে ধাক্কা মারে নৌসেনার একটি স্পিডবোট। ধাক্কার অভিঘাতে উল্টে যায় লঞ্চটি। দুর্ঘটনার পর ১০১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। গুরুতর জখম হন দু’জন।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে লঞ্চটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ার ঠিক আগের এবং পরের ভিডিয়ো। যদিও ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভাইরাল একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, লঞ্চ থেকে সমুদ্রের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছেন এক যাত্রী। তাঁর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সমুদ্রে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরে যাচ্ছে নৌসেনার স্পিডবোট। এঁকেবেঁকে এ দিক-ও দিক যাচ্ছে সেটি। এর পরেই ওই স্পিডবোটটি এসে লঞ্চে ধাক্কা মারে। অন্য একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন নৌসেনা আধিকারিকেরা। স্থানীয় মাছ ধরার লঞ্চ, নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্যে দুর্ঘটনাগ্রস্ত লঞ্চ থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করা শুরু হয়েছে। সেই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস জানান, আরও কেউ নিখোঁজ রয়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্বজনহারা পরিবারগুলিকে পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। দুর্ঘটনার পরে নৌসেনার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, স্পিডবোটের ইঞ্জিনটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারায় সেটি। তার পরেই লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সেটির। মৃত্যুর মুখ থেকে কোনও রকমে বেঁচে ফেরা যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, লঞ্চে লাইফ জ্যাকেট ছিল না। দুর্ঘটনার পর নাকি জলে জ্যাকেট ফেলা হয়। পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট থাকলে ১৩ জনের মৃত্যু এড়ানো যেত বলেও যাত্রীদের দাবি। চালকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। লঞ্চের ওই চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy