সঠিক খাদ্য ও জিমের ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করুন তবেই ঝরবে মেদ।
শরীরের মেদ থাকাটাই স্বাভাবিক। তবু, মেদ ঝরানোর কথা মাথায় রেখে আজকাল জিমে যাওয়াটা হয়ে উঠেছে একটা ট্রেন্ড। জিমে গিয়ে কসরত করায় যে সুস্থতার আশ্বাস রয়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবুও অনেকেই সঠিক পদ্ধতি না জেনে ভুল ধারনাকে মাথায় রেখে আধিক শরীর চর্চা করে বিপদ ডেকে আনেন।
বিশেষজ্ঞরা জানান, খাদ্য তালিকায় কেবল পুষ্টিকর খাবার থাকলেই চলবে না। সঠিক ডায়েটের পাশাপাশি অতিরিক্ত শরীরচর্চা স্বাস্থ্যের পক্ষে বই ভাল নয়। এর কারণে পেশিতে ব্যথা, শরীরে ক্লান্তি দেখা দেয়। ফলে কসরত যতটা কার্যকর হবে বলে মনে করছেন, ততটা ফল হয়তো মেলে না।
রোজ খাবারের পাতে ফ্যাট, হাই কলেস্টরল জাতীয় খাদ্য। কিন্তু ওয়ার্ক আউট করছেন উচ্চ মাত্রায়। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পরছে। এই লক্ষণগুলি সঙ্গে কি মিলে যাচ্ছে আপনার দুর্বলতার সঙ্গে?
মাত্রাতিরিক্ত এক্সারসাইজের শরীরকে দূর্বল করে তোলে
সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা বা দৌড়নোর মতো অ্যারোবিক এক্সারসাইজ যদি বেশি সময় ধরে করে থাকেন, তবে মাথায় রাখবেন আপনার ক্লান্তির এটা অন্যতম কারণ। কাজে অনিচ্ছা, অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা-- এ সবের কারণ অতিরিক্ত এক্সারসাইজ হতেই পারে।
আরও পড়ুন: শরীরের আগে মনকে নিয়মে বাঁধুন
দিনে মাত্রাতিরিক্ত এক্সারসাইজের দরুন শরীর দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। তার সঙ্গে চলছে ডায়েটও। কিন্তু আপনি যে ডায়েট করছেন সেই তালিকায় কি সুষম খাদ্য রয়েছে? অতিরিক্ত কার্ভ বা অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাদ্য পাতে না রাখাই ভাল। এর ফলে সঠিক ডায়েট হবে না। এবং ওজনও হ্রাস পাবে না। উল্টে অফিস হোক বা বাড়ি, দিনের শেষে অল্পেতেই ক্লান্তি গ্রাস করে নেবে।
ডায়েট চার্টে সুসম খাদ্য রাখুন
রোজ ৬-৭ ঘন্টার মতো এক্সারসাইজ করছেন। তাতে পেশিতে টান, ব্যথা হচ্ছে। মাত্রা ছাড়িয়ে শরীর চর্চা করলেই এসব হবে। যা আপনাকে বেশ কিছু দিনের জন্য ভোগাতে পারে। ব্যস্ত জীবনেও আনতে পারে ব্যাঘাত।
শরীরকে যথাযথ সুস্থ রাখতে হলে নিয়ম করে হাতে সময় নিয়ে ওয়ার্ক আউট করতে হবে। ভুল ধারণাকে মাথায় নিয়ে চললে হিতে বিপরীতও হতে পারে। দরকার পরলে ট্রেনারের কাছে পরামর্শ নিন। ঠিক কতটা সময় জিম করবেন, সপ্তাহে ক’দিন করবেন, কী কী খাবেন-- সমস্ত কিছু জেনে নিলেই শরীর তো সুস্থ থাকবেই, সঙ্গে মেদও ঝরবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy