ভালবাসা দীর্ঘস্থায়ী করার সহজ টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
প্রেম বলেকয়ে আসে না। কখন কী ভাবে প্রেমের জোয়ারে হাবুডুবু খাবে মন, তা কি আর আগে থেকে বলা সম্ভব? তবে প্রেম সব সময়েই মধুর। আর প্রথম প্রেমের অনুভূতিই আলাদা। সব সময়েই ‘চোখে-হারানো’, ভালবাসার মানুষের জন্য বুক-দুরুদুরু, নতুন নতুন উপহার দিয়ে চমকে দেওয়া। প্রথম প্রেমে বাঁধনহীন আবেগ থাকে, সঙ্গীর জন্য অন্তহীন অপেক্ষা থাকে, দু’চোখে থাকে স্বপ্ন। প্রেম যত প্রবীণ হয়, ততই উচ্ছ্বাস কমে, অভিজ্ঞতার ভারে তার ভিত আরও মজবুত, পাকাপোক্ত হয়। সম্পর্কের সমীকরণ ঠিক কতটা মজবুত হবে, তা শুধু একে-অপরের প্রতি ভালবাসার উপর নির্ভর করে না। ভালবাসা ছাড়াও সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে আরও কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখতে হয়।
ছোট-ছোট কয়েকটি কৌশলই হয়ে উঠতে পারে প্রেমকে আরও পাকাপোক্ত করার চাবিকাঠি।
১) সম্পর্ককে সময় দেওয়া জরুরি। সে নতুন হোক বা পুরনো। সম্ভব হলে দিনে অন্তত এক বার দেখা করার চেষ্টা করুন। সেই সময় নিজের সমস্যা, পেশাগত জটিলতার কথা নয়, শুধুই ভালবাসার কথা বলুন।
২) একে-অপরের জন্য স্বার্থত্যাগ করা খুব জরুরি। মনে অভিমান পুষে রেখে সম্পর্ককে আরও জটিল করা কোনওভাবেই উচিত নয়। দরকার হলে একে-অপরের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন, নিজেদের পছন্দ-অপছন্দগুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
৩) পারস্পরিক বোঝাপড়া খুবই জরুরি। ভুল বোঝাবুঝি যত কম হবে, ততই সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
৪) সম্পর্কে ওঠা-নামা থাকবেই। তাই সম্পর্ক ভাল রাখতে একে-অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখাটা খুব জরুরি।
৫) যে কোনও সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। পছন্দ, ভাল লাগা আলাদা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। পরস্পরের পছন্দ-অপছন্দগুলোকেও মর্যাদা দিন। দু’জনেই তাঁদের ভাবনাগুলো ভাগাভাগি করে নিন।
৬) সম্পর্কে কোনও জড়তা রাখবেন না। সম্পর্ক সহজ করে তুলতে কোনও কিছু চেপে না রেখে মন খুলে বলে দিন। এমনকি সঙ্গীর কোনও আচরণও খারাপ লাগলে, তা সোজাসুজিই বলুন।
৭) একে অপরের পাশে থাকুন। পরিস্থিতি যতই জটিল হোক, যতই বাধাবিপত্তি আসুক, পরস্পরের হাত শক্ত করে ধরে রাখুন।
৮) একে-অপরের খারাপ সময়ে মানসিক জোর দিন। সম্পর্ক ভাল রাখতে মানবিক স্পর্শ জরুরি।
৯) প্রেমে পড়লে যে কেউ একটি নিশ্চিন্ত আশ্রয় খোঁজেন। সেই ভরসার জায়গা হয়ে উঠুন।
১০) ভালবাসার মানুষটিকে বার বার বলুন ভালবাসার কথা। ভাল সম্পর্কের জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন তার প্রকাশেরও।
১১) দায়িত্ব নিতে শিখুন। সম্পর্ক জিইয়ে রাখার অন্যতম শর্ত হল দায়িত্ব নেওয়ার সাহস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy