গরমে যত্ন নিন পোষ্যের। ছবি: সংগৃহীত।
রোদের প্রখরতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তীব্র দহনে নাজেহাল সকলেই। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দহনজ্বালা আরও বাড়বে। গরম কমার এখনই কোনও লক্ষণ নেই। বিভিন্ন জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও। এমন পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু নিজে সুস্থ থাকলে হবে না, বাড়ির চারপেয়ে পোষ্যটিকেও যত্নে রাখতে হবে। গরমে কষ্ট বাড়ে সারমেয়দের। মুখ ফুটে তারা অস্বস্তির কথা বলতে পারে না। তাই আরও বেশি করে পোষ্যদের দেখাশোনা করতে হবে। গরমে সারা ক্ষণ শুধু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থাকতে চায় তারা। এর ফলে সাময়িক আরাম মিললেও তা শরীরের কষ্ট দূর করতে পারে না। দিনের বেশির ভাগ সময়ে এসিতে থাকার ফলে শরীর জলশূন্য হয়ে যায়। মানুষের মতো পোষ্যদেরও শরীরে জলের ঘাটতি হয়। এই সময়ে তাদের সুস্থ রাখতে কী কী মেনে চলা উচিত? বৈশাখের গরমে কী ভাবে স্বস্তিতে রাখবেন পোষ্যকে?
১) পোষ্যকে ভাল করে স্নান করাতে হবে নিয়মিত। প্রয়োজনে দিনে একাধিক বার স্নান করানো যেতে পারে। কুকুরকে স্নান করানোর সময়ে স্নানের জলে মিশিয়ে দিতে পারেন অল্প বরফের টুকরোও।
২) শরীরের লোম বড় থাকলে গরম বেশি লাগবে, এই ধারণা ঠিক নয়। বরং এই লোমই দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তবে তা যেন খুব বেশি বেড়ে না যায়, তা-ও খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি, পোষ্যের থাকার জায়গাটিতে যেন হাওয়া চলাচলের যথেষ্ট সুযোগ থাকে। গরমের দিনে ভেজা তোয়ালের উপরেও শুতে দিতে পারেন কুকুরকে।
৩) গরমে পোষ্যের খাওয়াদাওয়ার উপর বাড়তি নজর দিতে হবে। যে সব ফলে জল বেশি, তা বেশি করে খেতে দিন। তরমুজ, আপেলের মতো ফল খাওয়ান।
৪) দিনের বেলা বাইরে প্রচণ্ড রোদ। তাই বাড়ির বাইরে কম ঘোরাতে নিয়ে যান। চেষ্টা করুন বাড়িতেই অল্প খেলাধুলো করাতে। তবে রোদ পড়লে সন্ধ্যার দিকে হাঁটাতে নিয়ে যেতে পারেন।
৫) চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পোষ্যকে এ সময়ে একটি করে মাল্টিভিটামিন নিয়মিত খাওয়াতে পারেন। তাতে নানা ধরনের সংক্রমণের প্রবণতা কমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy