প্রতীকী ছবি।
সন্তানের বয়স যতই কম হোক, অতিমারি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে লাভ হবে না। পরিস্থিতি উদ্বেগের। বড়দের মতো ছোটদেরও তা জানা দরকার। চারপাশে কী হচ্ছে, তা শুনে ভয় পেতেই পারে সে। তবে ভুল বুঝিয়ে তাকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়। যে কোনও দিন সংক্রমিত হতে পারেন বাড়ির কেউ। ওমিক্রন যে ভাবে ছড়়াচ্ছে, তাতে সতর্ক থাকা জরুরি। পরিস্থিতি সম্পর্কে আন্দাজ থাকলে, নিজে কিছুটা সাবধানে থাকার কথাও বুঝতে পারবে সে। তা ছাড়া, অন্য কারও মুখ থেকে আতঙ্কের কোনও কথা শোনার আগে নিজের অভিভাবকের কাছ থেকে জানাই ভাল। বাবা-মা না বললেই যে চারপাশের খবর শিশুর কাছে পৌঁছবে না, এমন তো নয়।
আরও একটি বিষয় হল, আগের মতো নেই চারপাশ। অনেক বেশি নিয়ম-বিধি মেনে চলতে হচ্ছে। বার বার হাত ধোয়া, মাস্ক পরা থেকে শুরু করে আবার মাঠে খেলতে না যাওয়ার মতো পরিস্থিতি ফিরে এসেছে। স্কুলের পড়া কম্পিউটারের সামনেই সেরে ফেলতে হচ্ছে। শৈশব কাটছে এমন বহু ধরনের চাপের মধ্যে। এ সময়ে যদি এই পরিবর্তনের কারণ না জানানো হয় তাকে, তবে মানিয়ে নিতে অনেক বেশি অসুবিধা হবে তার।
অতিমারির এই স্ফীতির মাঝে কী ভাবে যত্নে রাখবেন বাড়ির শিশুটিকে?
১) অতিমারি নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করা জরুরি
২) তার বোঝার মতো করে সহজ ভাষায় কিছু তথ্য দিন
৩) তাই বলে সব সময়ে রোগ নিয়ে আলোচনা করবেন না
৪) এর মধ্যেও দৈনন্দিন কাজ-কর্ম যে করতে হবে, সে কথা বোঝান
৫) ঘরেই একটু খেলার ব্যবস্থা রাখাও খুব প্রয়োজন
৬) শিশুর খাবার পুষ্টিকর হচ্ছে কি না, সে দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া চাই
খেয়াল রাখা জরুরি যে, শিশুদের সঙ্গে বাইরের জগতের প্রধান যোগসূত্র হলেন তার অভিভাবকেরাই। তাঁরাই পারবেন পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তার মনের বিকাশ ঘটাতে। এ সময়েও সে দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy