কুকুর অবসাদে ভুগছে বুঝবেন কী করে? ছবি: ফ্রিপিক।
আদর-যত্নে থাকলেও তীব্র মানসিক চাপে ভোগে পোষা কুকুরেরাও। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত, মানুষের মতোই উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা হয় ওদেরও। ভয় বা আতঙ্কে ভুগলে কুকুরের আচরণে অনেক বদল আসে। বেশির ভাগ সময়েই পোষ্যের মালিকের পক্ষে তা বোঝা সম্ভব হয় না। যদি দেখেন আপনার পোষ্য কুকুরটি অল্পেই ঝিমিয়ে পড়ছে, খাওয়াদাওয়া তেমন ভাবে করছে না, বাড়ির বাইরে বেরোতেই চাইছে না, তখন সতর্ক হতে হবে।
কুকুরেরা যখনই ভীত হবে বা আতঙ্কে ভুগবে তখন তাদের ব্যবহারে আচমকা বদল আসবে। হয় খুব হিংস্র হয়ে উঠবে অথবা সারা ক্ষণ চিৎকার করে যাবে, কাছে আসতে চাইবে না। কুকুরদের ঘর্মগ্রন্থি থাকে না। তাই জিভ বার করে লালা নিঃসরণের মাধ্যমেই শরীর ঠান্ডা করে তারা। যদি কোনও কারণে পোষ্য অসুস্থ হয় বা উদ্বেগে ভোগে, তখন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হাঁপাবে তারা। শ্বাস নিতে সমস্যা হবে। শ্বাস-প্রশ্বাসের হার আচমকা বেড়ে যাবে। ঘন ঘন শ্বাস টানতে থাকবে। এই সব লক্ষণ দেখলেই পশুচিকিৎসকের কাছে দ্রুত নিয়ে যেতে হবে।
অনেক সময় দেখা যায়, পোষ্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমোচ্ছে। সব সময়েই ঝিমিয়ে থাকছে। মানসিক চাপ বা অবসাদের সেটিও একটি লক্ষণ। চিকিৎসকেরা বলেন, পোষ্য কুকুর যদি খেলতে না চায়, অল্পেই ক্লান্ত হয়, তা হলে বুঝতে হবে সে শারীরিক বা মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছে।
আপনার পোষা কুকুরটি দিনে কতটা জল খায় তার হিসাব রাখেন তো? যদি দেখেন, ওর জল তেষ্টা অনেক বেড়ে গিয়েছে, বারে বারে জল চাইছে, তা হলে বুঝতে হবে, প্রচণ্ড উদ্বেগে ভুগছে। এটি ডায়াবিটিসেরও লক্ষণ হতে পারে। আগে হয়তো দেখতেন আপনি খাবার দিলেই আপনার পোষ্য ছুটে চলে আসত। নিজের পছন্দের খাবার দেখলে লেজ নেড়ে চেখে দেখতে চাইত। কিন্তু ইদানীং হয়তো দেখছেন সে খেতে চাইছে না। পছন্দের খাবার দিলেও সে ফেলে দিচ্ছে, মাঝেমধ্যেই তার শরীরে কাঁপুনি হচ্ছে। এমনটা হলে সতর্ক হতে হবে। এমন লক্ষণ দেখলে দেরি না করে পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy