বন্ধুর সঙ্গে তুমুল ঝগড়া। কী ভাবে মিটমাট করবেন, বুঝতে পারছেন না! কী করবেন? ছবি: ফ্রি পিক।
জীবনে সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার বন্ধু থাকলে, ঝাড়ঝাপটার মোকাবিলা করা সহজ হয়ে যায়। বন্ধু অনেক সময় পরিবারেরও চেয়ে বেশি আপন হয়। কিন্তু যে বন্ধুর সঙ্গে মন উজাড় করা গল্প, তার সঙ্গে যদি ঝগড়া হয়! ছোটখাটো নয়, যাকে বলে বড় রকমের ঝামেলা, তখন!
একেবারে ছোট বয়সের ঝাগড়া এক রকম, সেখানে থাকে ভাব-আড়ির খেলা। কিন্তু বড় হয়ে যাওয়ার পর সম্পর্কের সমীকরণ সহজ থাকে না। অনেক সময়, ঝগড়াঝাটির পর মান-অভিমান এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে, যে সেই বাধা অতিক্রম করা কঠিন হয়ে পড়ে। এমন হলে কী করবেন?
১. ঝগ়ড়া, ঝামেলার পর মাথা গরম থাকে। রাগ হয়। মনে চলতে থাকে, ‘ও কেন এমন করল? বা ও কী করে এই কথাটা বলতে পারল!’ বন্ধুত্ব যত গাঢ়, অভিমানও তত তীব্র হয়। তবে কথা কাটাকাটির পরেই এ নিয়ে মিটমাট করতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং নিজেকেই একটু শান্ত করা দরকার। খানিক ক্ষণ একলা থাকলে, প্রয়োজনে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে মন খানিক শান্ত হতে পারে।
২. মাথা ঠান্ডা হলে এক বার তলিয়ে ভাবুন, কোথা থেকে সমস্যার সূত্রপাত। ভুলটা সত্যি কার ছিল? হতে পারে, ভুল দু’জনেরই। নিজের ভুলটাও বুঝতে পারা খুব জরুরি। ঠান্ডা মাথায় এর পর ভাবতে হবে, কী ভাবে কথা বলা শুরু করবেন।
৩. অনেক সময় ভুল বুঝলেও, কোথাও গিয়ে অহংবোধ কাজ করে। অনেক সময়ই আমরা অপেক্ষা করি, অন্য জন কখন কথা বলবেন। অন্য মানুষটিও তখন একইভাবে ভাবেন। কে আগে কথা বলবেন বা দুঃখপ্রকাশ করবেন, তা ভাবতেই ভাবতেই দিন চলে যানয়।
৪. রাগের মাথায় এমন অনেক কথা বেরিয়ে যায়, যাতে অন্য মানুষটি খুব আঘাত পান। এ ক্ষেত্রে ভেবে দেখা দরকার, আপনি এমন কোনও কথা বলেছেন কি না। যদি বলে থাকেন, দুঃখপ্রকাশ করায় কখনওই ছোট হয়ে যাবেন না।
৫. যদি মনে হয়, ঝগড়ায় আপনার তেমন দোষ ছিল না, তবু অন্য পক্ষ কথা বলছেন না, তখন নিজেই কথা শুরু করতে পারেন। একদম স্বাভাবিক ভাবে কথা বলুন। যেমনটা ঝগড়া না হলে বলতেন। সব সময় যে কথা শুরু করলে পুরনো ঝগড়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেই হবে, তেমনটা নয়। স্বাভাবিক ভাবেই আবার কথোপকথন চলতে পারে। আসলে, সময় মান-অভিমান ভুলিয়ে সব ঠিক করে দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy