যৌন মিলনের পরের মুহূর্তকে জাপানিরা কেন এত গুরুত্ব দেয়? ছবি: সংগৃহীত
যৌন চরমসুখের পর মুহূর্তেই যে কোনও মানুষই নানা রকম অনুভূতির মধ্যে দিয়ে যান। যাঁরা অন্য সময়ে উদ্বেগে ভোগেন, তাঁরা এই সময়ে বাকি সব চিন্তুামুক্ত হয়ে বর্তমানটা উপভোগ করেন। কেউ কেউ খুঁজে পান স্বস্তি এবং শান্ত হয়ে খানিক ঘুমিয়ে পড়েন। কারও মন আনন্দে ভরে যায়, কারও আবার আফসোস-অনুতাপে (পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল)। তবে আরও এক দল মানুষ রয়েছেন, যাঁদের এই সময়টা চিন্তামুক্ত ভাবে কাটে। তাঁরা সৃজনশীল বা সৃষ্টিশীল কাজে এ সময়ে ব্যস্ত হয়ে যান।
জাপানি ভাষায় চরমসুখের পর মুহূর্তকে বলে ‘কেঞ্জাতাইমু’, যার অর্থই ‘জ্ঞানের সময়’। অর্ল্যান্ডো হেল্থ’এর চিকিৎসক জামিন ব্রহ্মভট্ট এ বিষয়ে বলেছেন, ‘‘এই সময়ে সকলেরই সজাগ-বুদ্ধি অন্য ভাবে কাজ করে। তবে কারও বেশি, কারও কম। কেউ নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়েন, কেউ আবার আরও বেশি কাজ করতে উৎসাহী হয়ে পড়েন।’’
মস্তিষ্কের এমআরআই স্ক্যান দেখিয়েছে, যৌনমিলনের ঠিক আগে লিম্বিক সিস্টেম অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে যায়। বিভিন্ন অনুভূতির সঙ্গে যোগ রয়েছে এই অংশেরই। যৌনসুখের পর ডোপামিনের মাত্রা কমে প্রোল্যাক্টিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। হরমোনের মাত্রার হেরফেরের জন্যেই মূলত সজাগশক্তি আরও পরিষ্কার হয়ে যায় এই মুহূর্তগুলিতে।
কিনসে ইনস্টিটিউটের মনোবিদ জাস্টিন লেমিলারও এ বিষয়ে এক মত। তিনি বলেছেন, ‘‘অর্গ্যাজমের পর সকলের চিন্তাভাবনা অনেক বেশি পরিষ্কার হয়ে যায়।’’
ফলে অনেকেই মনে করেন, যৌনসুখের পরই যাবতীয় জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া উচিত। কারণ বিচারবুদ্ধি এই সময় একটু হলেও বেশি সক্রিয় থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy