পোষ্যের জন্য নিরাপদ কোন কোন খাবার? ছবি: ফ্রিপিক।
খাবার খেতে খেতেই পাশে গা ঘেঁষে বসে থাকা আদরের সারমেয়কে থালা থেকে তুলে কিছু খাইয়ে দেওয়া হয়তো আপনার অভ্যাস। সে মাংস খান অথবা পিৎজ়ার টুকরো, লেজ নাড়তে নাড়তে সে কাছে এলে, একটুখানি তার মুখেও দিয়ে দেন। কিন্তু জানেন তো, পোষ্যকে খাইয়ে আপনার আনন্দ হলেও, সে খাবার কিন্তু তার শরীরের জন্য উপযুক্ত নয় মোটেই। তেলেভাজা বা মশলা দেওয়া খাবার খেলে কোনও ভাবেই তা হজম করতে পারবে না আপনার আদরের পোষা কুকুর। মানুষের উপযোগী সব খাবার পোষ্যের জন্য ঠিক নয়। একমাত্র নুন, তেল বা ঘি এবং মশলা ছাড়া খাবারই দেওয়া যেতে পারে তাদের। তবে এমন কিছু খাবার আছে, যা পোষা কুকুরের জন্যও পুষ্টিকর। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
আপনি খান, এমন কোন কোন খাবার পোষ্যও খেতে পারে?
১) সবুজ সব্জির মধ্যে কড়াইশুটি, গাজর, বিন্স, রাঙা আলু পোষা কুকুরকে খাওয়াতে পারেন। এই বিষয়ে পশু চিকিৎসক সবুজ রায়ের পরামর্শ, সব সব্জি সিদ্ধ করে একদমই তেল বা ঘি ছাড়া দিতে পারেন পোষ্যকে। গাজরের ভিটামিন এ কুকুরদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন কে এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ বিন্সও পোষা কুকুর খেতে পারে। তবে নুন ছাড়া খাওয়াতে হবে। কতটা সব্জি খাওয়াবেন তা পোষ্যের প্রজাতি, ওজন ও বয়স অনুপাতে ঠিক করতে হবে।
মিষ্টি আলু, ব্রকোলিও পোষ্যের জন্য নিরাপদ। তবে পেঁয়াজ বা রসুন ভুলেও পোষা কুকুরকে খাওয়াবেন না। এতে ওদের রক্তাল্পতার ঝুঁকি বাড়বে।
২) ফলের মধ্যে শসা, তরমুজ, কলা খাওয়ানো যেতে পারে পোষা কুকুরকে। গরমকালে কুকুরদের সবচেয়ে পছন্দের খাবার হল তরমুজ। এই ফলটি তাদের শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে। তবে দানা ছাড়িয়ে তবেই দিতে হবে। ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ শসাও কুকুরদের স্বাস্থ্যের খুবই ভাল। তবে খোসা ছাড়িয়ে পাতলা করে কেটে দিলেই ওদের খেতে সুবিধা হবে।
৩) চিকিৎসকের কথায়, ভাত বা দানাশস্য দুই-ই দেওয়া যেতে পারে পোষা কুকুরকে, তবে পরিমাপ বুঝে। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ভাত দেওয়া যেতে পারে। ভাত সব্জি দিয়ে বা দই দিয়ে মেখে দিতে পারেন। দানাশ্যের মধ্যে ওট্স, বার্লি, রাগি দেওয়া যেতে পারে।
৪) দুগ্ধজাত খাবারের মধ্যে ঘরে পাতা দই দেওয়া যেতে পারে সারমেয়কে। দই থেকে ওদের শরীরে ক্যালশিয়াম ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে।
খেয়াল রাখতে হবে, কোনও রকম মিষ্টি, আইসক্রিম বা চকোলেট কুকুরকে খাওয়ানো যাবে না। এই সব খাবারে এমন যৌগ থাকে, যা কুকুরদের জন্য বিষ। খেলেই বমি, পেটের সমস্যা হবে, এমনকি হৃৎস্পন্দনের হারও বেড়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy