ভিন্দেশে যুদ্ধ করতে এসে প্রেমপ্রস্তাব দিয়ে বসেন অচেনা মেয়েকে। ছবি: সংগৃহীত।
প্রেমের শুরুটা হয়েছিল যুদ্ধের আবহে। বোমা আর বারুদের গন্ধ গায়ে মেখেই একসঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, আর নিয়তি হয় অন্য। দুয়ানে মান এবং পেগি ইয়ামাগুচি তার অন্যতম উদাহরণ হতে পারেন।
১৯৫৩ সালে ২২ বছর বয়সি দুয়ানে কোরিয়ান যুদ্ধে যোগ দিতে জাপানে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে আলাপ পেগির সঙ্গে। দেখেই পেগির প্রেমে পড়ে যান দুয়ানের। ভিন্দেশে যুদ্ধ করতে এসে প্রেমপ্রস্তাব দিয়ে বসেন অচেনা মেয়েকে। দুয়ানের প্রস্তাবে সাড়া দিতে দেরি করেননি পেগিও। প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় সেখান থেকেই। সম্পর্কের বয়স যখন মাস ছয়েক, পেগি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। আর ঠিক সেই সময় টোকিয়োতে দুয়ানের থাকার মেয়াদ শেষ হয়। দুয়ানেক দেশে ফিরে যেতে বলা হয়।
সেই পরিকল্পনা মাথায় রেখেই দেশে ফেরেন তিনি। কিন্তু এসে দেখলেন, বাবা তাঁর সমস্ত অর্থ অন্যত্র খরচ করে ফেলছেন। আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। টাকাপয়সা ছা়ড়া পেগির সামনে গিয়ে দাঁড়াতে চাননি দুয়ানে। তাই বুকে পাথর চাপা দিয়ে হলেও পেগির সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তবে অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হতে দেশেই অন্য চাকরি নেন তিনি।
যোগাযোগ নিভে গেলেও পেগির জন্য দুয়ানের ভালবাসা অটুট ছিল। পেগিকে এবং তাঁর সন্তানের খবর নেওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন। কোনও খবর পাননি। শেষ পর্যন্ত কয়েক দশক পরে ফেসবুকের মাধ্যমে পেগিকে খুঁজে পেলেন ৯২-এর দুয়ানে।
ফেসবুক ঘাঁটতে ঘাঁটতে পেগির প্রোফাইলটি চোখে পড়ে। দুয়ানে নিজের পরিচয় দিয়ে মেসেজ করেন। এক সপ্তাহ পরে উত্তর আসে। অনেক বছর পর কথা হয় দু’জনের। দুয়ানেকে দেখতে তাঁদের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে চলে আসেন বৃদ্ধা পেগি। এত বছর পর ফের কাছাকাছি আসে দুই মন। দুয়ানে এবং পেগি দু’জনেই বলেছেন, ‘‘যে ক’দিন বাঁচব, একসঙ্গে হাতে হাত রেখে থাকতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy