Advertisement
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
Rashmika Mandanna

জীবনসঙ্গীর সঙ্গে নিরাপদ বোধ করতে চাই? চাহিদা রশ্মিকা মন্দানার, কেন এমন মনে হয়?

এর আগে রশ্মিকার সম্পর্ক ভেঙেছে। বাগদান পর্ব সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর সঙ্গীর সঙ্গে বোঝাপড়ার সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে সম্পর্ক থেকে সরে আসেন রশ্মিকা। তবে দ্বিতীয় বার আর সেই ভুল করতে চান না অভিনেত্রী।

রশ্মিকা মন্দানা।

রশ্মিকা মন্দানা। ছবি : সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৯
Share: Save:

বলিউড হোক বা তাঁর ঘরের কাছের তামিল ফিল্ম জগৎ— রশ্মিকা মন্দানার ছবির নায়ক সব সময়েই একটু অন্যরকম। ‘পুষ্পা’-এ তাঁর স্বামী পুষ্পা রাজ লাল চন্দনের স্মাগলার। ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে রশ্মিকার নায়ক রণবীর কপূরের চরিত্রে জান্তব বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। কিন্তু নিজের জীবনে যাঁকে নায়কের মর্যাদা দেবেন অভিনেত্রী, তাঁর মধ্যে কী কী গুণ থাকা দরকার? প্রশ্ন করা হয়েছিল রশ্মিকাকে। জবাবে রশ্মিকা বলেছেন, ‘‘জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে তাঁকে আমার সঙ্গে থাকতে হবে। তাঁর সঙ্গে থাকলে যেন আমি নিরাপদ বোধ করি। ’’ অবশ্য রশ্মিকার চাহিদার তালিকা সেখানেই শেষ হচ্ছে না।

রশ্মিকার ঘটমান বর্তমান

সম্প্রতি দক্ষিণী তারকা বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে রশ্মিকার সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। যদিও প্রকাশ্যে দু’জনের কেউই সম্পর্কের কথা শিকার করেননি। বিজয়ের সঙ্গে এর আগে বলিউডের অভিনেত্রী অনন্যা পান্ডের নাম জড়িয়েছিল। তবে সেই কাহিনি এখন অতীত। দক্ষিণের কমবয়সি অনুরাগীদের মনে ঢেউ তোলা বিজয় এখন রশ্মিকার সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছেন। ছবি শিকারিদের লেন্সে বহুবার ধরাও পড়েছে দু’জনের একান্তে সময় কাটানোর ছবি। এর মধ্যেই জীবনসঙ্গীর থেকে তাঁর চাহিদা কী, তা নিয়ে মন খুলেছেন রশ্মিকা।

রশ্মিকার চাহিদা

সঙ্গীর কাছ থেকে তিনি কী কী আশা করেন তা স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন রশ্মিকা। নিজের চাহিদা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘তিনি যে-ই হোন, তাঁর মনে দয়া-মায়া থাকতে হবে। আর থাকতে হবে আমার প্রতি সম্মান। সম্পর্কে যত্ন থাকাটা আমার কাছে অত্যন্ত জরুরি। তাঁর সঙ্গে থাকলে আমি যেন নিরাপদ বোধ করি।’’

এর আগে রশ্মিকার সম্পর্ক ভেঙেছে। বাগদান পর্ব সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর সঙ্গীর সঙ্গে বোঝাপড়ার সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে সম্পর্ক থেকে সরে আসেন রশ্মিকা। তবে দ্বিতীয় বার আর সেই ভুল করতে চান না অভিনেত্রী। রশ্মিকা বলেছেন, ‘‘ যেকোনও সম্পর্কে ভালবাসার পাশাপাশি, যত্ন, সম্মান, সঙ্গীর প্রতি নিবেদিত হওয়ার যে আবেগ তা আমার মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই আসে। আমি চাই আমার সঙ্গীর মধ্যেও তা থাকুক। সহানুভূতিশীল মন না থাকলে তাঁর সঙ্গে পথ চলা মুশকিল।’’

নিরাপত্তাবোধের চাহিদার নেপথ্যে

সম্পর্কে নিরাপত্তা বোধ চাওয়া, সব সময় সঙ্গীকে কাছে চাওয়া কি স্বাভাবিক? রশ্মিকার চাহিদা আর তার সারার্থ জানতে চাওয়া হয়েছিল মনোবিদ সোনাল খাঙ্গারোটের কাছে। তিনি বলছেন, ‘‘সঙ্গীর সঙ্গে আমাদের জুড়ে থাকার যে ধরন, তা কেমন হবে, সেটা নির্ভর করে ব্যক্তিবিশেষের আত্মবিশ্বাসের উপর।’’

মনোবিদের কথায়, ‘‘যিনি আত্মবিশ্বাসী, তিনি সঙ্গীকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন না। তিনি যেমন সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় নিরাপদ বোধ করবেন, তেমনই বিনা দ্বিধায় সঙ্গীকে স্বাধীন যাপনও করতে দিতে পারবেন। অন্য দিকে আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকলে, সঙ্গীকে নিয়ে উদ্বেগ থাকবে সর্ব ক্ষণ। হয়তো সামান্য মেসেজের জবাব না দেওয়া নিয়েও তিনি ভুল বুঝতে পারেন। তাঁর মনে হতে পারে, সঙ্গী তাঁর যত্ন নেন না।’’

মনোবিদ বলছেন, ‘‘এতে উল্টো দিকের মানুষটার মনে হতেই পারে, তাঁর স্বাধীনতা নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টিকে সে ভাবে দেখলে সম্পর্কের ক্ষতি হতে পারে।’’ মনোবিদের পরামর্শ, এ ক্ষেত্রে পরষ্পরের প্রয়োজন বুঝে কাজ করতে হবে। কারও যেন মনে না হয়, তাঁর প্রয়োজনটিকে অবহেলা করা হচ্ছে। দরকার হলে কাপল থেরাপিও করানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Rashmika Mandanna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy