জীবনে সাফল্যের জন্য যেমন ভাল অভ্যাস জরুরি, তেমনই সুস্থ থাকার জন্যও তা প্রয়োজনীয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠা, হাঁটাহাটি, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম যেমন মানুষের সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি, তেমনই পোষ্যেরও।
দিনরাত ঘরে থাকতে থাকতে সারমেয়রও একঘেয়ে লাগতে পারে। তা ছাড়া শরীরচর্চার অভাব, খাবারের দিকে নজর দেওয়া না হলে ওজন বেড়ে যেতে পারে তাদেরও। হাঁটাচলা কম হলে, পুষ্টিতে ঘাটতি থাকলে বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ। সারমেয়কে সুস্থ রাখতে কোন বিষয়ে নজর দেবেন?
রুটিন: সময়ে খাওয়া, শরীরচর্চা, ঘুম— সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। পোষ্যের দৈনন্দিন কার্যকলাপও কিন্তু সে কারণে রুটিনে বেঁধে দিতে পারেন। ঘড়ি ধরে খাওয়ালে, বেশ কয়েক দিন একই সময়ে তাকে নিয়ে বেড়ালে, শরীরচর্চা করালে তার মধ্যেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি হবে। কখন খেতে বা ঘুমোতে হবে নিজে থেকে বুঝে যাবে সে-ও।
পুষ্টিকর খাবার: সারমেয়দের জন্য তৈরি বাজারচলতি খাবার সব সময়ই তারা পছন্দ করে। কিন্তু তারও মাপ থাকা দরকার। পোষ্যের শরীর সুস্থ রাখতে গেলে প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার, খনিজ, প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারের সঠিক সমন্বয় জরুরি। পোষ্যের বয়স এবং ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খাবারের মাপ নির্ধারণ প্রয়োজন। বেশি খাওয়ালে স্থূলতার সমস্যা দেখা দেবে। এই বিষয়ে পশুচিকিৎসকের সাহায্য নিতে পারেন। তা ছাড়া, প্রতি দিন একই সময়ে খাবার দিলে পোষ্য কিন্তু নিজেই বুঝবে এটা তার খাবার সময়।
আরও পড়ুন:
বেড়ানো এবং শরীরচর্চা: সারা দিন ঘরে থাকতে পোষ্যেরও কিন্তু ভাল লাগে না। বাইরের খোলা হাওয়া, খানিক ঘোরাঘুরি তার মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। সকালে অথবা বিকালে কোনও একটি সময় তাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোতে পারেন। খোলা মাঠে খানিক ছুটতে দিলে বা পোষ্যের সঙ্গে বল নিয়ে খেলা করলে এমনিতেই তার শরীরচর্চা হয়ে যাবে। তা সম্ভব না হলে বাড়িতেই শরীরচর্চা করানো জরুরি।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা: পোষ্যের মনের খেয়াল রাখার পাশাপাশি মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বাড়ানোও জরুরি। বিভিন্ন ধরনের খেলা, নতুন প্রশিক্ষণে তাদের মস্তিষ্কের ক্ষিপ্রতা বাড়ে। সারমেয়র দৈনন্দিন খেলার জিনিসগুলি এ দিক-ও দিক সরিয়ে দিয়ে দেখতে পারেন, সে কী করছে। দিনরাত অলস ভাবে বসে থাকলে সারমেয়র স্বাস্থ্যেও তার প্রভাব পড়তে পারে।
আচরণ শেখানো: অনেক সময় পোষ্য বাইরের লোকজন দেখলে অত্যন্ত অসহিষ্ণু হয়ে পড়ে। অতিথি এলে কেমন ব্যবহার করতে হয় সেগুলিও তাকে শেখানো যেতে পারে। তা ছাড়া, বাড়িতে মলমূত্র কোথায় ত্যাগ করবে সেগুলি শেখানো এবং অভ্যাস করানো জরুরি। কথা শুনলে তাকে উপহার দিন। দুষ্টুমি করলে বকাবকির বদলে, উপহার দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। এ ভাবেও তাকে ভাল আচরণের জন্য অভ্যস্ত করা যেতে পারে।