বড়দিন গেল, নববর্ষ আসছে। ক্রিসমাস ইভে মাইক-ফোঁকা ‘জিঙ্গল বেল’ আদিখ্যেতায় মাঝরাতে কেঁদে-কেঁদে উঠছিল বাড়ির দেড় বছরের বাচ্চাটা। আর, নববর্ষ মানে তো সন্ধে থেকেই পাশের ছাদে ঢাউস বক্স বাজিয়ে উদ্দাম পার্টি হচ্ছে। ঘড়ির কাঁটা বারোটা ছুঁতেই বাজি-মস্তানদের পোয়া বারো। দুমদাম, দুম— আপনার বারোটা বেজে গেল। বেড়ালছানা কেঁপে কেঁপে উঠছে, বাচ্চা কাঁদছে, বৃদ্ধ বাবার হার্টফেল হয়-হয়। আগে আপত্তি করে দেখেছেন, উল্টো ফল হয়। বাজনার ভলিউম বাড়িয়ে দেওয়া হয়, পটকা ছোড়া হয় আপনার বারান্দা তাক করেই। তবে?
পুলিশকে ফোন করুন
ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৮ ধারা বলছে এ সব ‘পাবলিক নুইসেন্স’, শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্থানীয় থানায় ফোন করলে তারাই যা করার করবে। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে বলেই দেওয়া হয়েছে, এ সব ক্ষেত্রে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য।
পুলিশ কী করবে
পুলিশ খতিয়ে দেখবে, আপনার অভিযোগ সঠিক কি না। দিনের যে কোনও সময় অস্বাভাবিক জোরে মাইক বাজানো, রাত ১০টার পরে মাইক বা খোলা জায়গায় বক্স বাজানো, ১২০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ হয় এমন পটকা ফাটানো নিষেধ। পুলিশ এসে যদি দেখে এ সব হচ্ছে, তবে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারে। মাইক-বক্স-বাজি ইত্যাদি বাজেয়াপ্তও করতে পারে।
অপরাধীর কী হবে
শাস্তিযোগ্য হলেও এই সব অপরাধ জামিনযোগ্য। কাজেই সেই রাতেই থানা থেকে বা পরের দিন আদালত থেকে অভিযুক্তেরা জামিন পেয়ে যাবে। তবে মামলা চলবে। দোষ প্রমাণ হলে জরিমানা হবে।
পুলিশ যখন অন্ধ
পুলিশ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অনেকেরই বিশেষ ভাল নয়। বিশেষ করে অভিযুক্তেরা যদি প্রভাবশালী লোকজন হয়। পুলিশে ভরসা রাখা না গেলে সোজা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কন্ট্রোল রুমে ফোন করুন। চব্বিশ ঘণ্টা তা খোলা থাকার কথা। উৎসবের সময়ে বাড়তি সতর্কতা থাকে, নজরদার দলও ঘোরে। পুলিশ না এলেও তারা অবশ্যই আসবে। পুলিশ যদি সক্রিয় থাকে তবুও তাদের পাশাপাশি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে জানাতে পারেন। অনেক সময়ে পুলিশ নিজেও সেখানে খবর দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy